পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぶ ৬ মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ কানাচি দাড়িয়ে বড় বড় করে বলতে লাগল ; চন্দ্রবাবু! আমার স্বামী, আমি স্ত্রা, আপনি গোপনে এখানে মুকচুরি খেলচেন, আমি চল্লেম । চন্দ্রবাবু শুনে একেবারে কুমুদিনীর পা ধরে কতরকমে সেধে বাড়ি নিয়ে গেলেন । আর কখনো কা’র নাম করেন না । মুক্ত—(কাতর স্বরে ) যা হবার তা হয়েছে। সৈ! এখন এর উপায় কি ? কত লোকের কাছে কত কথা শুনি । পাড়ার ছেলে মেয়ে আমায় শুনিয়ে শুনিয়ে আর কত বলে । কেউ বলে দুইজন মদ খেয়ে পাগলের মত রাস্তায় রাস্তায় ঘুবে বেড়ায় । লজ্জা তো নাই, মান অপমান বলেও ভয় নাই। আবার শুনি যে, একদিন দুজনে মাঝামারি করে যা না বলতে পারে, তাও বলাবলি কবেছে । রাই—কি বলেছে, মা বাবা বলাবলি করেছে, এই তো ? ও কথা ত মাতালের আসল বোল ( ও কথায় কিছুই গোল নাই । ভালবাসার ডাকই ঐ ! যুক্ত—মিছে নয়, আবার শুনি যে কিছুই না । যেমন তেমনি রয়েছে। ছি! ছি। কি ঘূণ । ( নেপথ্যে ) জিতা রাও বাবা বৈতরণী পার হই, দেখে যেও, বাবা ! স্ত্রাধাবেতে পা সাবধান, দেখে যেও । “দেখে যেও সোনার যাদু, ( আমি ) যাচ্ছি তোমার আঁচল ধরে । ধারেতে পা সরে না মাথার কিরে যারে ফিরে ।” ধিরে যাও—এ ব্রজরাই ধিরে যাও । মুক্ত—এ যে বাবুর গলার আওয়াজ । এ কি ! বাড়ির মধ্যে আসছেন তবু যে গান থামচে না । রাই—বুঝি বেশি করে থেযেনে, আজ বড়দিন, দু তিন বোতল খেয়ে চুলতে ঢুলতে গলাবাজি কবে আসছেন, কথায় বেঠিক হচ্ছে, যা মুখে আসছে তাই বলছেন । এই সময আমি একটু আড়ালে যাই । সৈ! মাতাল হলে মন বড় সাদা হয়। এই রেতে যে গান করতে করতে তোমার কাছে আসছেন, অবিশুি মনে পড়েছে, অবিশুি কিছু মনে হয়েছে । আমার মাথা খাও, আজ ছেড না, একুটু ধল্লেই মনের কথা শুনতে পাবে। ঐ আসছেন, আড়ালে গিয়ে বসি । ( প্রস্থান )