পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর উপায় কি ? సె వె নয়ন—তোর আর ভালবাসা দেখাতে হবে না, তুই চল । বাধা—আচ্ছ, আমায় একটু ছেড়ে দেও, আমি এ ঘর থেকে মুক্তকেশী হারাম জাদিকে তাড়িয়ে দিই। নয়ন—যা বলতে হয়, এখান থেকেই বল, কাছে যেতে দেব না। মারতে গিয়ে কাছে দাড়ালেও আমার গা জালা করে । রাধা—তা আমি বেশ বুঝি, আমায় ছেডে দাও, দেখ তোমার মনের দুঃখ এমনি মেটাচ্ছি । ছেড়ে দাও, আমায় ছেড়ে দাও । ( জোরে যাইতে উদ্যত ও নয়নত বা পশ্চাৎ হইতে পিরান এবং পিবান ছিডিলে পরিধেয় ধারণ ) নয়ন—আবাব যেতে চাও ? চল আবে থাকতে পারব না । ( গমনোদ্যত ) মুক্ত— নিকটে যাইযা ) দেখ, তোমাব দুখানি পাম ধরি, একটু দাডিয়ে হত ভাগিনীব দুটি কথা শুনে যাও । বাধা—তোব কি কথা শুনবে বে প্রাণ ! তুষ্ট গাইতে জানিস নে, নাচতে জানিস নে, এমন বদবসিকেব কথা বাধীকান্ত শুনতে পাবে না । মুক্ত—ত হক, আমি স্ত্রী, আমাব একটি কথা শুনে যাও ( চরণ ধরিতে উদ্যত ) অভাগিনীর দুঃখের কথা শুনে যাও । রাধা--( সজোবে পদাঘাত কবিয়া ) এই শুনি । { মদনবাবুর প্রস্থান নয়ন—জামাই ! দাড়াও, আমরা ও আসছি, আব দুই-এক ঘা দেখে গেলে না ? ' মুক্ত—এমন কবে এদেব সামনে অপমান করলে ? রাধা—আমায় আর শেখাতে হবে না। নয়নতারা ছেডে দেয় না বলে বেঁচে গেলি । যদি বঁচি তবে কাল এসে—- [ উভয়ের প্রস্থান মুক্ত—বে কপাল ! ( ক্ৰন্দন ) ( বাইমণির প্রবেশ ) রাই—{ বাঞ্চল দ্বাবা মুক্তকেশীর মুখ মুছাইয়। ] তোমার দোষে তুমি কঁদিবে, এর উপায় কি ? সে পোড়াকপালি দু’শভাতারী এত কথা বলে গেল, তুমি তো একটি কথাও বললে না। মুক্ত—আমবি কি বলবার সাধ্য আছে ? ভাবলেম কি হল কি, হল কি ? ও সাত