পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ স্বমস্ত অতি বুদ্ধিমান ও কৃতবিদ্য, স্বতরাং রাজনন্দনের এই অযৌক্তিক বাক্য শ্রবণে কিয়ৎকাল মৌনভাবে থাকিয়া বলিলেন, বন্ধো ! পরম কারুণিক পরমেশ্বর যে সমুদায় বৃত্তি প্রদান করিয়৷ মানবকুলের গৌরব বৃদ্ধি করিয়াছেন, বিদ্যা ভিন্ন তাহা পরিমজ্জিত হয় না । যে জ্ঞানের নিমিত্ত মকুষ্যেরা সকল প্রকার জীবজন্তুর উপর একাধিপত্য স্থাপন ও ঈশ্বরের অস্তিত্বজ্ঞান লাভ করিয়াছেন, তাহীও বিদ্যা ব্যতীত লব্ধ হয় নাই। আপনি কিঞ্চিৎ স্থির চিত্তে বিবেচনা করিয়া দেখুন, বিদ্যাদ্ধারা সকল কার্য্যই সাধিত হইতে পারে। অভাবনীয় ও অশ্চির্য্য আশ্চর্য্য কাৰ্য্যসমূহ কেবল বিদ্যাবুদ্ধি দ্বারাই সম্পন্ন হইতেছে। যে কাৰ্য্য বিদ্যাহীন লোক প্রাণ পৰ্য্যন্ত পণ করিয়াও সমাধা করিতে পারে না, তাহ বিদ্যাবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তি অনায়াসে সাধন করিয়া আপামর সাধাবণের হিত সাধন করেন । মিত্র । বিদ্যাবুদ্ধিবিহীন ধনীর বিজ্ঞলোকের ন্যায় নি তা চিন্তমখ সম্ভোগ করিতে পাবেন না । ধনীদিগের অস্ত:করণ সর্বদাই অসুখী ; কেননা তাহার কুসংস্কারের ক্রীতদাস । সীমান্য বিষয়েই তাহারা উৎকণ্ঠিত ও ব্যাকুল হন । আপনি কি বিবেচনায় বিদ্যা অপেক্ষা ধনের শ্রেষ্ঠত স্বীকার করিতেছেন, বুঝিতে পারি না । বোধ হয় প্রমাদে পতিত হইযjছেন । আপন সিদ্ধাস্তের বিপরীত বাক্য শ্রবণ করিয়া রাজকুমার সংক্রাধ লোচনে বলিলেন, কি বৃথা তর্কবিতর্ক কধিতেছ? আমি চিরকালই জানি, তুমি আমার বাক্য খ গুন করিতে সাধ্যমতে ক্ৰটি কর না, কিন্তু তুমি নিশ্চয় জানিবে যে পৃথিবীর কেহই আমার বাক্য খ গুন করিতে পারে না । তুমি নিস্তব্ধ হও, ধনই জগতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ পদার্থ। স্বমস্ত কহিলেন, যুবরাজ ! অকারণ ক্রোধ করেন কেন ? এ তর্কের মীমাংসা স্বদেশে হইবার সম্ভাবনা নাই। যে দেশ উভয়েরই অপরিচিত এমন এক দেশে গমন করা যাউক, তাহা হইলে দেখা যাইবে, ধন দ্বারাই বা কি কাৰ্য্য সিদ্ধ হয় এবং বিদ্যাদ্বারাই বা কি কর্ম সম্পন্ন হয়। রাজকুমার তাহাতে সন্মত হইলেন। অত:পর ভিন্নদেশে গমন করাই স্থির হইল। সেই দিনই রাজনন্দন পশ্চিমাভিমুখে এবং মস্ক্রিনন্দন পূৰ্ব্বাভিমুখে যাত্রা করিলেন । বুtঙ্গনন্দন নানা দেশ পরিভ্রমণ করিয়া, পরিশেষে বনপৰ্য্যটনে প্রকৃত্ত হইলেন। সপ্তাহক নিবিড় বন পৰ্যটন করিয়া এক বির প্রভাকরের প্লেখর BBBB BBB BBkDD DBBDD BBBB BBBBBS DD DZ uBB