পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) { N মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ মদন—আপনি বলতে পারেন । বলুন তো, বেঙ্গা কার বাবা-কেলে বিশ্বাসের ধন । হাজার ভালবাসেন, দিনবাত পায়ের ধূলা মাথায় করে ঝাডেন, সোনার টাকা দিযে প্রতিদিন পূজা করেন, তবু ফাক পেলে উপরিলাভ হাত করবেই করবে । রাধা—সকলে নয় । মদন—খু জলে পাওয়া ভার। আপনি জানেন আপনার নয়নতাবা আপনাকেই জানে ? রাধা—[ কিঞ্চিৎ রাগতভাবে বায় রাখিয়া ] জানি বই কি ? আমি দিব্বি করে বলতে পাবি কারও ঘরের মাগও নয়নতারার মত সতী নয় । আগে যাই করুক, এখন সে বেশু নাই । মদন—যাক, আপনার সঙ্গে আমি ঝগড়া করতে আসি নাই । যা ইচ্ছা করুন, দয়। করে দুই গ্লাস খেতে দিবেন বস । রাধা—এখন সোজা পথে এসো, বাজে কথার দরকার কি ? [ সম্মুখস্থ বোতল হইতে গ্লাসে মদ ঢালিতে উদ্যত ] ন| এতে কিছুই নাই, ভগবান ভাব, দেখ বড়বউ কি করে আসেন । মদন-শাশুড়ী যে নিজেই।– রাধা—দশটা বাজলে দোকানী বেটার কি আর পুরুষের হাতে মদ দেয় ? জগ। দুবার ফিরে এসেছে বলে তিনি নিজেই রেগে গেছেন। আমি সঙ্গে যেতে চাইলাম, তা বললে যে আর তোমার গিয়ে কাজ নেই । মদন—এই তো ঠাকুর চাতুরী বুঝিতে পার নাই । শতজন মন তার কথায় যোগায় । একমন পরিতোব করিছ কোথায় ? একজন আলে তারা কখনই থাকে না । একের অভাব হলে কিছুই ভাবে না । এ-কেবল তোমার নয় ও নয়নতারা । কতজনে বলে মোর নয়নের তারা [ কার তারা কে বলিবে, তারা কার নয় । কেবল অর্থের সনে তারার প্রণয় |