পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর উপায় কি ? • X ovo নেপথ্যে— মলের শব্দ করিয়া ] এমন লোকের হাতেও পড়েছি, এত করে মন যোগাই তবু মন পাইনে । রাধা— মদনবাবুর প্রতি ] এখন তো আর সম্মুখে নাই—শোন, অগোচবে কি বলে । মন থেকে খাটি করে না বেবোলে কি আর অসাক্ষাতে বলছে ? ( বোতল হস্তে নয়নতারার প্রবেশ ) নয়ন—এই নেও ( বোতল রাখিয়া ) পথে আসতে বড় ভয় পেয়েছি । মেঘে এমন অন্ধকবি হয়েছে যে কোলেব মানুষ চক্ষে দেখা যায় না । দুই-এক ফোটা জল পড়ে অব ও জালাতন কবেছে । সে জগ সঙ্গে গিয়েছিল সে বেটা আমা হতে ভয়খেক । মেঘেব ডাক ও বিদ্যুতেব চকমকি দেখে জড়িয়ে ধরে । রাধা—বড়বউ, অামাব জহা বডই ক? পেয়েছ । আমি এ কথা আজীবন ভুলব ন, বস, তোমার মাথার জল মুছিয়ে দি । নয়ন—( মুখ বাকী কবিয়া ) থাক, আপনার আর আদর করে কাজ নেই। আমিই মুছি । ( অঞ্চল দিয়া মাথা মোছন ) রাধা—[ নয়নতারার প্রতি ] দেখ, তোমার জামাই আজ তোমার যে নিন্দে কবেছে, তা শুনে মরা মানুষেরও রাগ হয় ! মুক্তকেশীকে কাল তোমাব কথায় মেরেছি, তাইতে আমি তো আর মামুষের মধ্যেই নেই। আর তোমার নামে একেবারে দুশ বেঁটা । নয়ন—ওদের কথা মুখে আনতে নেই, আমন নিমকহারামদের কথা শুনতে আছে ? ওরা যে পাতে খায় সেই পাতই ফুটো করে । বাবা! ওদের খুরে নমস্কার ( যোডকরে নমস্কার ) মদন—শাশুড়ী ! তুমিও যে পাগল হলে । আমি নিন্দে করব ? আমি বারবিলাসিনীদের দুই-একটি কথা বলেছি। তুমি তো আর তা নও? শাশুড়ী, আমার মাথা খাও, বাবুব কথায কান দিও না । ( আপন হাতে ঢেলে ) এটো করে একটু দেও, খেয়ে বাড়ি যাই । রাধা—যাবে কোথায় ? ভয় পেয়েছ ? বড়বউর এককথাতেই দশ হাত সরে গেলে ? [ মদ ঢালিয়া ] খাও—লক্ষ্মী অামার। টোকে ঢোকে গেলে । নয়ন—আপনি কেন দিচ্ছেন ! আমি এ টো করে হাতে দিচ্ছি। ও যা বলেছে তাই করি, জামাই আমার মানিক-অঙ্গুরী । যখন যার তখনই তার। মন