পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

× ov&) মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ বাইরে যাই গড়াগড়ি, না জানি ভাগ্যে আজি কি যেন আছে ( ওলো সই ) । [ প্রস্থান নয়ন—( ক্ষণকাল পর) আর কথা কি ? রাত তো আর কম হয় নাই ? রাধা–কথা আব কি ? ( দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ কবিয়া ) যাই । নয়ন--না পার খুলে বল । তুমি যে তার মায়া ছাড়তে পারবে না, তা আমার বেশ জানা আছে । রাধী—একেবারে প্রাণে মারতে — নয়ন—( ক্রোধে ) তবে আমি মরি । তোমাব মুক্তকেশী বেঁচে থাক । তোমার ভালবাসা বেঁচে থাক । আমি তার পরানেব কাল হয়েছি, তাইতে তোমারও চক্ষেব শূল হযেছি । আর কাজ নেই, আমি গলায় ছুরি দিয়ে মরব। ( ত্রস্তে হাতবাক্স হইতে ছুবি লইযা গলাস্পর্শ) এই ছুরি । তুমি— বাধা—(ব্যস্তে নযনতাবার হাত ধবিয়া ) ছি ছি, এ কি ? তুমি কি আমার সৰ্ব্বনাশ করবে ? নয়ন—হাত ছাড়, আমি যা বলেছি তাই করবে । বাধা—ছুরি ছাড । নয়ন—আবার তোব কথায ভুলবো ? কাল এককথা আজ এক কথা ? পাজি ! আমি তোর মুখ আর দেখবো না । [ দুই পা সজোরে আছডাইয়া ঈষৎ ক্ৰন্দন-স্বরে ] আমি এ প্রাণ আব বাখবো না ( ছুবির উলটা পিঠে গল। কাটিতে উদ্যত ] এখন মবি, সব মিটে যাক । রাধা—তুমি কি পাগল হযে়েছ ? ( কঁাপিতে কঁাপিতে ) ছুরি ছাড় । আমি সত্যি সত্যি বলছি এই ছুরি দিয়ে মুক্তকেশীর গলা কাটব ( ছুরি কাডিয়া লইয়া ) তোমাব অসাধ্য তো কিছুই নাই। সৰ্ব্বনাশ ! কি সৰ্ব্বনেশে বাগ ! নয়ন— কান্দিতে কান্দিতে ] ছুরি নিলে কি হবে ? আমি আজই গলায় দডি দিয়ে মরব। এখন বুঝি অস্তরে ঘা লেগেছে ? ( কিঞ্চিৎ নিস্তব্ধ) যাও, তোমার মুক্তকেশীকেও মেরে কাজ নেই, আমার বাড়িতে এসেও আর দরকার নেই। আমি— রাধা—আমি ধৰ্ম্মত: বলছি, এই তোমার, গা ছুয়ে বলছি, মুক্তকেশীকে আজ খুন করব। নিশ্চয়ই খুন করব। যদি তুমি দেখতে চাও রক্তস্বদ্ধ ছুরি এনে তোমায় দেখাব । তোমার পায়ে ধরি, কেন্দো না । (পদধারণ )