পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা প্রথম স্তব প্রথম তরঙ্গ নীলকুঠি কুষ্টিয়ার বর্তমান রেলওয়ে স্টেশনের উত্তরসীম। গৌৰীনদী, পূৰ্ব্বসীমা কালীগঙ্গা । কালীগঙ্গা গৌরীর দক্ষিণ পাশ্ব হইতে ছুটিয়া ক্রমে দক্ষিণদিক বহিয়৷ কুমারনদে মিশিযাছে। কালীগঙ্গাব বাম তীরে শালঘব মধু্যায নীলকুঠি । বেলওয়ে স্টেশন হইতে সাত মাইল ব্যবধান । বর্ষাকাল—নীল কাজ আবস্ত, দিবাবাত্র লোকজনের কোলাহল । বেলা প্রায় ৮টা । কুলিবা বোঝা বোঝা ‘নীল শিটি’ মাথায় কবিয হউজের হবে ফেলিতেছে, নীলপচ দুৰ্গন্ধমঘ জল, নাক-মুখ বহিয়া বুকে-পিঠে পড়িতেছে। অল্প পরিসর পবিধেযখনি ভিজিয| পায়ের পর্য্যন্ত নীলরঙে বাঙিম! যাইতেছে । ছোট হউজেব কুলীরা ব’ঠে হস্তে চক্রাকাবে দাডাইয়া তালে তালে নীলপচা জল মাই (মন্থন ) কবিতেছে । জ তঘবে জালানি মাল জর্ণত হইতেছে । অপিস দালানে আমলাগণ আপন আপন কর্য্যে বসিয়া কাগজ কলমে মনেব সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছে। মে. টি. আই. কেনী শয়নকক্ষেই আছেন । দ্বিতল হইতে নামেন নাই। প্রতিদিন ৭টার সময় নিচে নামিয়া ডিহি দেখিতে গমন করেন, আজ ৮ট বাজিয়া যায়, নিচে আসিতেছেন না। কেফাতুল্য দরওয়ান সিড়ির সম্মুখে পায়চারি করিয়া খাড়া পাহাবা দিতেছে । রাম ইয়াদ পাড়ে জমাদাব ঢাল-তববার বাধা, দাড়ি দুই ফাক করা—কপালে রক্তচন্দনেব ফোট, আমীন, তাগাদগীব, কোড়াবরদারসহ বারান্দার সম্মুখে মনিবেব আগমন অপেক্ষীয় দাড়াইয়া আছে । নীলমণি মাহুত লালবনাতেব কুর্তি পরিয়া, মাথায় লালপাগড়ি বান্ধিয়া অঙ্কুশ হস্তে প্যারীজান হস্তীর ঘাড়ের উপর বসিয়া সিডির দিকে তাকাইয়া রহিয়াছে। প্যারাজান শুড় দোলাইয়া কৰ্ণ নাড়িয়া পুচ্ছ হেলাইয়া বিরক্তিকর কীটপতঙ্গসকল শরীর হইতে তাডাইতেছে। জয়চাঁদ সহিস শ্বেতবর্ণ অয়লারের বাগডোর ধরিয়া খাড়া রহিয়াছে। সময় সময় চামরদ্বারা ঘোটকবরের গাত্র