পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনেব কথা X R Y হইতে মক্ষিক তাড়াইতেছে। তত্ৰাচ খবগতি “অয়লার’ পুচ্ছগুচ্ছ অনবরত নাড়িয়া হুেষারবে সকলেব দৃষ্টি আকর্ষণ কৰিতেছে। বেহারীগণ পালকি মাটিতে রাখিয়া বেলা হইল’, ‘আজ রোন্দ্রে মারা পডিপ’, ‘সাহেবের বুদ্ধি নাই’ বলে কার যেন পিতৃমাতৃশ্ৰাদ্ধ করিতেছে। সঙ্গে সঙ্গে সময যাহতেছে । সকলেই দেখিল কেফাতুল্য পায়চাবি রাখিয়া সেলাম বাজাইবার জন্য নমভাবে দাডাইল । দবওয়ানজীব ভাবে সকলেই বুঝিল যে সাহেব নিচে নামিতেছে, সকলেরই পূৰ্ব্বভাব পবিবর্তন । নুতন ভাব নম ও সতক । বেহাবাগণেব মুখ বন্ধ, বেশীব ভাগ পালকি ঘাডে, কাম বজাইতে খডিা— প্রস্তুত । টি. আই. কেনী পাইপ টানিতে টানিতে বেতহস্তে নীচে নামিলেন । শশবাস্তে সকলেই ঘড়ি নেযাইয়া দস্তুবমত সেলাম বজাইল । সামান্ত চাকবেব সেলামেব প্রত্যুত্তব, প্রায়ই নাই, ইংরেজ অবও কড মেজাজ, সেদিক লক্ষ্য না থাকিলাবই কথা । জযর্চাদ সহিসেব দিকে বেত উঠাইসা বলিলেন, গেব! লাও । জলচাদ ঘোড়া লইস নিকটে আসিল । কেনী অশ্বে আবোহণ কবিলেন । আরবি ‘সন্দুক’ শব্দ উচ্চারণ কবিতেই পবরকস শিকাৰী তাড়াতাডি বন্দুক তেজদান লঙ্গমা সাহেবেব পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিল । আমীন, তাগাদগীব, কোড়ববদার চাকবি রচিঠিতে উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িতে লাগিল । নীলমণি মাহুত চাই ধাং কবিয পাবীজনকে পিলখানায লইয়া গেল । বেহারীগণ আজিকাব মত রক্ষা পাইল। কিন্তু সর্দাব বেহাবা মধু বলিতে লাগিল, “দেখ তো ভাই, বেটাব বুদ্ধি ! কথাটা আগে বললেই হঠত । আজ ঘোড়ায় চড়িয়া ডিহি দেখিতে যাইব, হাতী-পালকিব দবকাব নাই ।” মনিবেব বুদ্ধি-বিবেচনায় সাতপ্রকাব ক্রটি দেখাইয়া আপিস ঘরের বারান্দায় পালকি বাখিয়া মধু সদলে বাসায় চলিয়া গেল । টি. আই. কেনীব মনেব কথা আগে কেহ জানিতে পাবিত না । কোনদিকে নীল দেখিতে যাইবেন, সে কথা কাহাব ও জানিবাব সাধ্য ছিল না। কুঠির চতুদিকেই নীলজমি । যে দিকে র্তাহার ইচ্ছা হইত, সেই দিকেই তিনি যাইতেন । আমীন, খালাসীরা তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটিত । একদিন যেদিকে যাইতেন, পরদিন আর সেদিকে যাইতেন না—একথা সকলেই জানিত । আজি তিনদিন ক্রমাগত উত্তরদিকেই যাইতেছেন। কুঠির উত্তরদিকেই দমদম গ্রাম । টি. আই. কেনী দমদমা গ্রামের মধ্যে যাইয়া পথ ভুলিয়া অন্য পথে যান। র্তাহার বহুকালের