পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা X ૨ (? এক্ষণে মীবসাহেবেব উপস্থিতি কার্য্যবিববণই লেখকের লেখনীর আবশ্যকীয় উপকবণ । মীরসাহেব গৌরবর্ণ, স্থূলকায়, চক্ষু বিহ্মণবিত, ললাট বিশাল, মষ্টভাষী, সরলপ্রকৃতি এবং ঘোর আমোদী। পবিবাব-মধ্যে মাতৃহীন এক পুত্র, পিতৃহীন এক ভ্রাতুপুত্ৰী, দুই ভগ্নী এবং দাসদাসী ইত্যাদি । পুত্রেব নাম আসগর আলী, বয়স আট বৎসব । মীরসাহেবের জ্যেষ্ঠভ্রাতা ( শুকবননেসাব পিতা ) জীবিতকালে তিনিই সংসাবেব কৰ্ত্ত ছিলেন, এক্ষণে মীবসাহেবকে সেই সংসারেব ভালমন্দ যাবতীয ভাব বহন কবিতে হইয়াছে । জ্যেষ্ঠভ্রাতার মৃত্যুব পর শুকরননেসার বিবাহ দেওয ই মীবসাহেবের কতব্য কার্য্য মধ্যে অগ্রে প্রধান কার্যা বলিয়৷ পবিগণিত হইয়াছিল । তিনি যে বিবাহ সা ব্যস্ত কবিয়ছিলেন, সে সম্বন্ধে ত{হণব আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সকলেই নাবাজ । বিবাহের পূৰ্ব্বে মীরসাহেবের অতিনিকট সম্বন্ধীয় ভ্রাতা মীর আলী আসরফ খান বাহাদুব বলিয়াছিলেন যে, ভাই, গটাব হজবত (প্রভু)-দিগেব সহিত কোন নূতন সম্বন্ধ কপিও না। তাহদের হৃদয় নাই, সমাজেব ভস নাই, লোকনিন্দব দিকে দৃষ্টি নাই, তাহার মহাপাপকে ও অতি তুচ্ছ মনে কবে। আমি বাব বার নিষেধ কবিতেছি, স৷ গোলামেব সহিত শুকবনেব বিবাহ দি ও নী—কখনই দি ও ন—পবিণামে মনস্তাপ পাইবে, সৰ্ব্বস্ব হাবাইবে—পথে পথে কাদিয়া বেড়াইবে । সাবধান ! কখনই তাহাদেব কথায ভুলি ও না । তুমি জান না যে, তাহারা আপন সহোদবে সহোদরে কিনা করিতেছে! সমাজ হাসাইতেছে। ফরিদপুব অঞ্চল ডুবাইতেছে। এ সকল কথা স্মবণ রাখিও । কখনই সেই মুখ, নিরক্ষব সা গোলামের সহিত পিতৃহীন৷ কন্যাব বিবাহ দিও না । বিধির নিৰ্ব্বন্ধ খণ্ডাইতে কাহাব সাধ্য ! শতসহস্র প্রতিবন্ধক সত্ত্বেও শুকরননেসাব বিবাহ সা গোলামের সহিত হইয়াছিল । বিবাহেব পর জামায়েব হস্তে জমিদারি কার্য্যভার দিয়া মীবসাহেব আমাদের সঙ্গ কিছু বেশী করিয়াছিলেন। সময় সময় জামাতাকে বলিতেন, দেখ বাপু ! আমার কেহই নাই, কেবলমাত্র একটি পুত্র, তাহারও জীবনে সংশয়, সৰ্ব্বদাই পীড়িত। তোমবাই আমার বল, তোমরাই আমার সকল । আপন কার্য্য-কৰ্ম্ম দেখিয়া শুনিয়া করিবে । সংসারের ঝঞ্চাট আর আমার ভাল বোধ হয় না, স্ত্রীপুত্র-বিয়োগে আমার মন সৰ্ব্বদাই