পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ミぐり মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ অস্থির থাকে। অনেক কার্য্যে ও ভ্রম জন্মে। এক্ষণ বিষয়াদি রক্ষা করা না করা, সকলই তোমার ইচ্ছা ৷ দু সন্ধ্যা দুমুট খেতে পেলেই আমি সুখী হইব । সী গোলাম দেখিতে গৌরবণ, মুখ চোখা, মাথায় কোকড়া চুল, চক্ষু দুটি নিতান্ত ক্ষুদ্র, ক্র কুঞ্চিত । শীঘ্র শীঘ্ৰ কথা, অস্পষ্ট কথা, বিশেষ মনোযোগ করিয়া না শুনিলে সে কথা অনেকেই বুঝিতে পারিত না । সময়ে সময়ে তিনি অনেক শিষ্টাচার কবিয়া বিশেষ ঐক্যের সহিত সংসাবের কাজকৰ্ম্ম চালাইতে লাগিলেন। দিন দিন জমিদাবিব উন্নতি, সংসাবেব উন্নতি, অবস্থাৰ উন্নতি, বাড়িঘবের উন্নতি, চারিদিকে উন্নতি । উন্নতিব স্রোতলহরী, প্রবাহতবঙ্গ ক্রমে ক্রমে বহিতে লাগিল—ক্রমে ছুটিতে লাগিল । মীরসাহেব অধিক রেল পর্য্যন্ত নিদ্র। যাইতেন ! নিদ্রা হইতে উঠিয়া খসিয। আছেন, শালঘর মধুয়াব কুঠিব রামদয়াল সিং সেলাম বাজাইয়া একখানি পত্ৰ দিয়া সম্মুখে দাডাইল । মীবসাহেব বাংলা ভাষা স্বচ্ছন্দে পডিতে পাবিতেন, লিখিতে জানিতেন না। মনে মনে পত্র পডিয়া বামদযালকে বলিলেন, সাহেবকে অমাব সেলাম বল। সন্ধাব পূৰ্ব্বেই পত্রেব উত্তৰ যাইবে । রামদয়াল পুলবায় সেলাম বাজাইয়া নাগবা জুতাজোড়া যাহা দালানের সিডিব নীচে বাখিম| আসিয়াছিল, পায দিয়া লাঠি ঘাড়ে কবিয়া চলিয়া গেল । মীরসাহেব বলিতে লাগিলেন, সুন্দরপুবেব সহিত কাজিয়া কবা বড় সহজ কথা নহে । সাহেব আজ পর্য্যস্ত প্যাবীসুন্দবীকে চিনিতে পাবেন নাই । তা— যা হ’ক, দেবীপ্রসাদ কাছারিতে আসিয়াছেন কিনা ? মাংগন খানসামা দৌড়িয়া কাছবিঘর হঠতে প্রধান কাৰ্য্যকাবক দেবীপ্রসাদকে ডাকিযা অনিল । কেনীব পত্র চোবে ঠাকুরের হস্তে দিয়া মীবসাহেব বলিলেন, ইহার যাহা বিহিত হয় কব । আর সেইসঙ্গে ইহার উত্তর লিখিয়া দে ও । দেবীপ্রসাদ পত্র পাঠ কবিয়া একটু চিস্তার পর বলিলেল, সাহেব যখন চাহিয়াছেন, দেওয়াই উচিত, কিন্তু এত লাঠিয়াল একদিনে তো জুটিবে না। মীরসাহেব বলিলেন, না জুটিলে উপায় কি ! যত পাব । যখন সাহায্য চাহিয়াছেন, তখন দিতেই হইবে । দেবীপ্রসাদ বলিলেন, নিজের হাত-পা যাহারা, তাহদের এ কাজে দিতে পারি না, সুন্দরপুরের ঘর কম নহে। পরিণামে যে কি হইবে, তাহ। ঈশ্বরই জানেন । সাহেব এত দিন দুৰ্ব্বলকেই নিৰ্য্যাতন করিয়াছেন, সবলের গায়