পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকেব মনের কথা 〉こ m তো হাত দেন নাই—এই প্রথম । যাক সে কথায আমাদের কাজ নাই । এতদিন পরে মহিষ অব বাঘিনীতে বাধিল । ভালই হইল । হয় কেনৗব সৰ্ব্বস্বাস্ত, নয় প্যারীসুন্দরাব সৰ্ব্বনাশ । এই বলিঘা মীরসাহেব উঠিয়া গেলেন । দেবীপ্রসাদ ও পত্ৰহস্তে পূৰ্ব্বনির্দিষ্ট কাছাবিঘবে আসিয়া বাব দিলেন । চিঠিপত্র, লোক যেখানে যেখানে পাঠান আবশ্যক, পাঠাতমা স্বীন আহবে কবিতে বাড়ি চলিয়া গেলেন । ততীয তবঙ্গ প্যTরীসুন্দরী BBBBBBB BBBB BBBBBB BBB BBBBB BBBBB 0 BBB BBBB BBB BBBS BBB BBBB BB BBS BBBB BBBSBBBB দেশবিখ্যাত । সকলেই জানে যে বামলোচন একজন বিখ্যাত মামলাবাজ । কেনীর অত্যাচাবে ছোট ছোট তালুকদাব, জোতদার, নানীশ্রেণীর ব্যবসাদবি, মহাজন প্রভৃতি নাজেহাল হইয়া পৈতৃক গ্রাম, বডি-ঘব ছডিয। নানা স্থানে নান লোকের অখ্রিয় লইতেছে—জাতি, ধন, মান, প্রাণ কৌশলে বাচাইতেছে । কেনী এ পর্য্যন্ত সুন্দরপুবেব কোন প্রজাব গায়ে হাত দেন নাই, কোনরূপ অত্যাচার কবেন নাই, ইহাতেই বামলোচন নির্ভাবনায় জমিদাবি চালাইতেছেন । প্যারীসুন্দবীও ঈশ্ববে ধন্যবাদ দিয়া নির্ভাবনাম আছেন । একদিন প্রায় একশত প্রজা কঁদিতে কঁদিতে সুন্দরপুব উপস্থিত হইয়। উহাদের একমাত্র বল-ভবসা, অশ্রিয়দাত্রী ও বক্ষকত্রী যাহাঁকে জানিত তাহার নিকট বলিতে লাগিল, “মা ! রক্ষা কব। এতদিন বঁাচাইয়াছ, এখন বাচাও। দুরন্ত বাঘের মুখ হইতে তোমার গরীব প্রজার প্রাণ বাচা ও । আগামীকলা আমাদের বুনানী ধান ভাঙ্গিয়া সাহেব নীলবুনানী কবিবে—বহুতর লাঠিয়াল সংগ্ৰহ করিয়াছে । মা ! অমাদিগকে রক্ষা কর । তুবন্ত জালেমেব হস্ত হইতে তোমার গরীব প্রজাদিগকে রক্ষা কর। এতদিন ছিলাম ভাল, এখন মারা পডিলাম। আর বঁচিবার পথ নাই। সংবৎসর আশা কবিয়! চাষ করিয়াছি, পেটে না খাইয়া ঘরের ধান মাঠে ফেলিয়াছি, স্ত্রী-পুত্র লইয়া খাইয়া প্রাণ বাচাইব, আপনাব বাজস্ব আদায় করিব আশাতেই সাধ্যের অতিরিক্ত পরিশ্রম করিয়া ঐ ধানখেতের দিকে চাহিয়৷ একটু স্থির রহিয়াছি । মা ! আমাদের সেই বোন ধান ভাঙ্গিয়া সাহেব যদি নীল