পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soo মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ সাহায্যে নিযুক্ত করিলেন । এবং একজন সাহসী কৰ্ম্মচারীকে তাহাদের অধিনাযক করিয়া প্ৰজাগণকে সঙ্গে দিয়া তখনই সুন্দরপুর হইতে ঘটনাস্থানে পাঠাইয়া দিলেন । বলিয়া দিলেন রাত্রি প্রভাত না হইতে হইতে ভারলেব (গ্রাম) কাছারি পহুছিবে এবং তথা হইতে যত লোক পাও সঙ্গে লইয়| সেই ধনেব জমিতে যাইয়া থাকিবে । প্রাণ থাকিতে সাহেবের লাঠিয়ালকে আমার এলাকায় পা দিতে দিবে না। যেখানে যাহাকে পাও মারিবে । ধরিয়া আনিতে পারিলে ত কথাই নাই । একে একে সকলেই বামলোচনেব আশীৰ্ব্বাদ লইয়া সুন্দরপুব হইতে বিদায झठेढन् । চতুর্থ তরঙ্গ ताछाली सूक्क বাঙ্গালী যুদ্ধে ডাক ভাঙ্গ একপ্রকাব উৎসাহস্তচক বাজনা এবং দূতেব কার্য্য করে। ডাকের উত্তব-প্রত্যুত্তরেই ক্ষমতা, বল, লোকসংখ্যা সকলই বোঝা যায়। অনেক সময় এরূপ ঘটিয থাকে যে, কেবল ডাক ভাঙ্গার উত্তব-প্রত্যুত্তরেই নিস্তেজ পক্ষ হটিয়া যায় । আর অগ্রসর হয না । বাত্রি প্রভাত হওয়ার পূৰ্ব্বেই প্যারীসুন্দরীব সর্দারগণ নির্দিষ্ট স্থানে ‘মার মাব’ শব্দে আসিয়া পড়িল । আসিয়া যাহা দেখিল তাহতে একেবাবে ভগ্নহৃদয়ে হতাশ হইয়া—নিরুৎসাহ হইয়া পড়িল । কারণ সাহেবেব লাঠিযালগণ বিরোধীয় ভূমিতে পূর্বেই আসিয়াছিল। কেবল প্রভাতের প্রতীক্ষায় ছিল মাত্র । উভয় পক্ষের মশালের আলো দেখিয়া উভয় পক্ষ ডাক ভাঙ্গিযা উত্তর-প্রত্যুত্তরেই বুঝ-সমুজ হইয়া গেল । উভয় পক্ষ জানিল যে কোন পক্ষই কম নহে। প্যাৰীসুন্দবাব লাঠিয়ালের স্থির করিল যে, রাত্রে লাঠালাঠি, মারামারি করা বুদ্ধির কার্য নহে। কে কোথা হইতে কাহাকে মারিবে, কে মরিবে, কে বাচিবে, কে রক্ষা করিবে, কে দেখিবে, একটু অপেক্ষা করিয়া পূৰ্ব্বদিক ফরসার সহিত আমরাও ওদিকে ফবসা করিয়া দিব । মাদাময়ী নিশা পরস্পর বিবাদ-বাধাইয়া দিবার জন্যই বোধহয় শীঘ্র শীঘ্র প্রস্তান করিলেন । দুই দলে স্পষ্ট দেখাশুনা হইল । ছেড়ছাড মিষ্টি গালি-গালাজ চলিল। প্যারীসুন্দরীর লাঠিয়ালেবা সজোরে ডাক ভাজিয়া ক্রমশঃই অগ্রসর হইতে লাগিল । ইহারা মনে করিয়াছিল যে, যে জমির ধান ভাঙ্গিয়া সাহেব নীল