পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা > こQ পঞ্চম তরঙ্গ আবTর রামলোচন একখানি পত্র প্যারীসুন্দরীর নিকট দিয়া বলিলেন, পত্র পডে দেখুন। প্যারীসুন্দরী পত্র পাঠ করিয়া ক্ষণকাল নীববে চিস্ত করিলেন । ভাবে বোধ হইল, যেন কোন বিশেষ গুপ্ত কথা পত্রে লিখা । ক্ষণকাল পরে বলিলেন, এবারেও যদি গতবারের মত হয়, তবে আর-কাজ নাই,—অপমান অপেক্ষা মৃত্যুই ভাল – বামলোচন বলিলেন, “চেষ্টাস ক্রট নাই। জয়পবাজয় ভগবানের হাত— দেখি । এবারেও দেখি !” প্যারীসুন্দবী বলিলেন, “দেখিতে আমার আপত্তি নাই। কিন্তু খুব সাবধান—খুব সতর্কে, এবাবে খুব সতর্কভাবে কাৰ্য্য কবিবে। ঐ ম্লেচ্ছ ইংরেজ বেট ( কেনী ) কোন দেশ হইতে এদেশে আসিয়া, দেশের লোকের সাহায্যে আমাদিগকে এত কষ্ট দিতেছে। প্রজাব তুর্দশার কথা শুনিয়া আমার হৃদয় ফাটিল৷ যাইতেছে । হায় ! হায় । একটি শ্বেত বাক্ষসে আমার জমিদারি পর্য্যন্ত গ্রাস করিতে বসিয়াছে।—ম্লেচ্ছ বেটা দৰ্প করিষা বলিয়াছে যে, প্যাবীসুন্দরীকে যে আমার নিকট ধরিযা আনিবে হাজাব টাকা পুবস্কার পাইবে । আমি ভাল কবিয বিলাতী সাবানে তাহার গায়েব মলা দুব করিয়া যাতে বাঙ্গালীর গন্ধ শরীর হইতে একেবারে সরে যায় তার উপায় করিব । গাউল পরাইয়া দিবি মেম সাজাইয়া কুঠিতে বাখিব ! কি ঘৃণা ! কর্ণ ! তুমি বধিব হও, বধির হও।” বামলোচন বলিলেন, “হুজুর । যত শুনা যায় তত নয়। আবার পব মুখে পরের কথা কিছু বেশি পরিমাণেই কানে আসে। ও সকল কথায় কান দিবেন না। শক্রর মুখ–আব পাগলেব জিহবা, এ দুই-ই সমান। আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। —বাজে কথা বলাব জন্য বাজে মুখ আছে। শুনিবার জন্যও বিস্তর কান রহিয়াছে। আমবা কাজের কথা শুনিব। এবং যাহা মনে আছে করিব। ও সকল হাওয়াই কথায় কখনই কান দিব না।”