পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ טאס\צ প্যারীসুন্দরী বলিলেন, “বাজে কথায় কান না দেওয়াই ভাল, কিন্তু কেনীর মেমকে যে হাতে আনিয়া দিবে, এই হাজাব টাকাব তোড়া তাহঁীব জন্যে ধরা রহিল,—ইহাব পব—মনের মত তাহাকে সন্তুষ্ট কবিব। আজীবন তাহার চাকুরি বজায় থাকিবে । মৃত্যুর পবেও তাব বংশাবলী সুন্দবপুবের ঘর হইতে বিশেষ বৃত্তি পাইবে।” রামলোচন বলিলেন, “এ উতলার কার্য্য নহে। সকল দিক বক্ষা কবিযl, মান, সন্ত্রম, এবং প্রাণ বঁাচাইয়া এইসকল কার্যো প্রবৃত্ত হইতে হয। রোষবশে সাংঘাতিক কোন কার্য্য কবিতে অগ্রসর হওয মাচুষেব কার্য্য নহে । আগে আত্মরক্ষা, শেষে যাহা ইচ্ছা। ইহার অন্যথায় নিত্য নূতন বিপদ ঘটিবাবই বেশী সম্ভাবনা । এই তো সেদিন তাড়াতাড়ি করিযা অপ্রস্তুত হইতে হইল। পূৰ্ব্ব হইতে আয়োজন কবিয আগাগোড়া আঁটিয়া কার্যাক্ষেত্রে প্রবেশ করিলে কিছুতেই ঠকিতাম না। সাহেবের লোকের কি সুন্দর কৌশলে কাৰ্য্যসিদ্ধি করিয়া চলিয়া গেল। বিবেচনার ক্রটিতেই সরকারী চাকব ১০১২ জন অনর্থক জখমী হইল। যদিও তাহারা প্রাণে মরিবে না কিন্তু আশঙ্কা অনেক।” প্যারীসুন্দরী বলিলেন, “আমি যে কিছু না বুঝি তাহা নহে। কিন্তু এত অপমান, এত লাঞ্ছনা, প্রজার প্রতি দেীবাত্ম্য ইহা অামাব প্রাণে কখনই সহিবে না। যাহা হইবার হইয়াছে। গত কথায় আর ফল কি ? এবারে কত লাঠিয়াল সংগ্ৰহ করিয়াছ ? এবাব তোমাকে স্বয়ং যাইতে হইবে । কুঠি পৰ্য্যন্ত নিজে না যাও, আমার কাছারি বাড়িতে থাকিবে । ইংরেজ দেখিলেই তোমরা যে কেন এত ভয় কর, তাহা আমি বুঝিতে পারি না। সেও মানুষ, তোমরাও মাতুষ । তোমাদেরও দুই হাত দুই পা, তাহাদেরও তাহাই। কোন হাড় কি শিরা তোমাদের শরীর অপেক্ষ তাহাদের বেশি নাই, অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরও কোন প্রভেদ নাই, আছে কেবল রঙের প্রভেদ । আর একটু প্রভেদ আছে। তোমরা নীলকর কুঠিয়ালদের ন্যায় পরিশ্রমী নও, বুদ্ধিমানও নও। কেনীর ন্যায় মিথ্যাবাদীও নও, নিৰ্দ্দয়, নিষ্ঠ র, প্রবঞ্চকও নও। অত স্বার্থপরও নও। আমি শুনিয়াছিলাম যে টি. আই. কেনী বিলাতের ভদ্রবংশীয়। কিন্তু এখন দেখিতেছি যে, সেসকল কথারই কথা . এখন দেখিতেছি