পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা » J}ማ কেনী চামার অপেক্ষা ও অধম, মেথর অপেক্ষা ও নীচ । ঐ কুঠিরই একজন সাহেবকে সাওতার বড় মীরসাহেব কি কবিয়াছিলেন মনে আছে ? আজি যে মীরসাহেব কেনীর আজ্ঞাবহ, সেই মীরের জ্যেষ্ঠভ্রাতা যে কীৰ্ত্তি করিয়! রাখিয়। গিয়াছেন, চিরকাল এদেশে সাধারণের মনে সে-কথা অঁাকা থাকিবে । তাহার ক্ষমতাকে সহস্র ধন্যবাদ । যে নীলকরকে দেখিলে তোমবা দশহাত সরিয়া পড, দুইহাত সেলাম বাজাইতে বাজাইতে পিছে হটিয়া হঁাপ ছাড, দেবতাব ন্যায় পূজা কর, যম হইতেও ভয় কর । সত্য কথা বলিব তাহাতে আবি দোষ কি ? নিন্দাবই-বা কথা কি ? সাহেব দেখিলে সকলেরই যেন গা কঁপিয়া ওঠে । সে গিডিমিডি কথা কানে গেলে মহামহিম মহাশয়েবও প্রাণ উড়িঘা যাস । সেই নীলকরকে ধবিঘা নিনি যেরূপ শাস্তি কবিযাছিলেন, তাহ! এদেশের সকলেই জানে । বড মীর ঐ শালঘব মধুময় কুঠিব একজন কুঠিযাল সাহেবকে ধবিযt, দিনে দুপুবে তাহার একটি কান কাটিয়া লইযাছিলেন। প্রজাব প্রতি অত্যাচার করাতেই না তাহাব বাগ—সাহেবের ও শাস্তি । আমি কি বলিব । আর কি কবিব । সমুদায় কার্য পরেব হস্তে । শুধু মুখেব কথায় কি হস ? যা হউক, আমি অবাব বলিতেছি কেনীব মেমকে তোমাব নিকট চাই ।” রামলোচন বলিলেন, “হুজুব । আমাব নিজেব কার্য্য নহে । যাহা করিব সকলই পরের হস্তে, আমি যোগাডের ক্রটি করি নাই, কথন ও কবিব না। টাকা খবচ করিতেও আপনাব হুকুমের অপেক্ষায় থাকি নাই, থাকিবও না—দেখি, এবাবে ঈশ্বব কি করেন।” এই বলিয৷ বামলোচন প্যাবী মন্দবীব নিকট হইতে বিদায় হইলেন। ষষ্ঠ তরঙ্গ মিসেস কেনী যে সময়ের কথা, সে সময় কুষ্টিয়ার মহকুমা বসে নাই। কেনীর জমিদারির কতক অংশ পাবনার সামিল, কতক মা গুবী যশোহবের অধীন। বিশেষ কোন আবশ্বকীয় কার্য্যোপলক্ষে কেনীকে স্বয়ং যশোহরে যাইতে হইয়াছিল। যখন সংবাদ পাইয়াছেন, তখনই বেহারার ডাক বসাইয়া চলিয়া গিযাছেন । রাত্রে সংবাদ রাত্রেই যাওয়া—অনেকেই তাহার যশোহর গমনের খবর পায় নাই ।