পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকেব মনের কথা \రి) ব্যাপার ? মহা গোলযোগ । পালঙ্ক হইতে ত্রস্তে উঠিয়া তাড়াতাড়ি গবাক্ষদ্বারে মুখ দিয়া দেখিলেন যে, তাহাব শয়নঘরের চতুষ্পার্শ্বে এবং কুঠির চারিদিকে বহুতর লাঠিয়াল। কুঠির হাতায, এবং প্রবেশদ্বাবে, ঢাল-সডকিবল্লমধারী সাবি সাবি লাঠিযালগণ যমদূতের ন্যায দণ্ডায়মান, সকলেই অপবিচিত। কুঠির কাহাকেও দেখিতে পাইলেন না। দেখিবার মধ্যে দেখিলেন প্রবেশদ্বার হইতে কুঠিব লোকদিগকে মারিয়া তাড়াইতেছে । তাহাব! আঙ্গিনায় আসিতে যতই চেষ্টা কবিতেছে, ততই লাঠিব আঘাতে আঘাতিত হইতেছে । বহু চেষ্টাতেও আঙ্গিনায প্রপেশ কবিতে পাবিতেছে না । মহা বিপদ ! একি ! এবা কারা ? কি জন্য আসিয়াছে—কিছুই বুঝিতে পাবিলেন না। তাড়াতাডি বিছানা হইতে উঠিয়া সিডিব দ্বাব বন্ধ কবিয়া দিলেন । গবাক্ষে মুখ দিয়া বলিতে লাগিলেন, “সাহেব কুঠিতে নাই ।” লাঠিযালদিগের মধ্য হইতে একজন বলিল, “আমরা সাহেবকে চাই না । তোমাকে চাই। প্যারীসুন্দরীর হুকুম, তোমাকে সুন্দরপুর যাইতে হইবে। কথায় না যাও—লইয়া যাইব ।” মিসেস কেনী বলিলেন, “বাপুসকল ! তোমরা আমাকে লইয়া কি করিবে ? আমি তোমাদেব কিছুই কবি নাই, আমাকে বাচাও !” সাদামুখের কথা শুনিতে কাহাব ভাগ্য ! আজি মিসেস কেনী বিপদে পডিয়া লাঠিয়ালদিগের সহিত কথা কহিতেছেন, কিন্তু কার ভাগ্য সে মুখের কথা শুনিতে পায় ? যাহাহউক, মিসেস কেনী তিন-চারটি কথা কহিয়াই কার্য্যউদ্ধাব করিলেন । স্ত্রীলোকের জয় না আছে কোথায় ? তাহাতে আবার বিলাতী মুখ! যার তুলনা ভারতে নাই। লাঠিয়ালগণের এত উৎসাহ এত জোরের কথা —মিসেস কেনীর ঐ একটি কথায় কোথায় যে সরিয়া গেল তাহার সন্ধান হইল না । —যে মুখ তুলিয়া তাকাইল সে তাকাইযা রহিল। যে কানে শুনিল সে কান পাতিয়াই রহিল । মিসেস কেনী সাহসে নির্ভর করিয়া একতোড়া টাকা উপর হইতে নীচে ছড়াইয়া ফেলিয়া দিলেন । অর্গের কাঙ্গাল বাঙ্গালী । টাকার মুখ দেখিয়াই গলিয়া পড়িল । যে কার্য্যে আসিয়াছিল, তাহ মন হইতে একেবারে সরিয়া গেল। সড়কি, ঢাল, লাঠি, তরবার মাটিতে ফেলিয়া তাড়াতাড়ি টাক৷