পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·აy মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ বলিয়া অবজ্ঞা করিবেন না। যেহেতু সকল মকুন্তু একভাবের নহে r আমি যে একাকী এই অপরিচিত দূরদেশে আসিয়া শতশত রাজপুত্র যে কাৰ্য্য সাধন করিতে সমর্থ হয় নাই তাহা সিদ্ধ করিতে সাহস প্রকাশ করিতেছি, ইহার অবশুই কোন নিগুঢ় কারণ থাকিতে পারে। তজ্জন্য আপনি চিন্তা করিবেন না। আপনার দুহিতার নিকটে দূত প্রেরণ করুন, উহার কি বাঞ্ছ, জানিতে পারিলেষ্ট অবিলম্বে পূর্ণ করিব । রাজা স্বকুমারের এই সাহঙ্কার বাক্য শ্রবণ করিয়া আহলাদে গদগদচিত্ত হইয়া সভাসদৃদিগকে বলিলেন, ইহার সাহস দেখিযা বোধ হইতেছে, ইনি অনায়াসে রাজকন্যার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিতে পরিবেন। এক্ষণে কন্যাব নিকটে ইহাকে প্রেরণ করা কর্তব্য। এই বলিয়া সভা ভঙ্গ করিতে আদেশ করিলেন । ভূপতি রাজনন্দন সুকুমারকে আপন অস্তঃপুরে লইয়া ভোজনাদি করাইলেন এবং তাহার বিশ্রামার্থ একটি প্রকোষ্ঠ নিরূপিত করিয়া দিলেন। রাজনন্দন তথায় বিশ্রাম-মুখামুভব করিতে লাগিলেন । অনস্তর রাজা শয়নমন্দিরে উপস্থিত হইয়t মহিমীকে বলিলেন, প্রিয়ে ! অদ্য তরুণবয়স্ক একটি বাজপুত্র তোমার হৃদয়নন্দিনীর প্রতিজ্ঞা পূর্ণ কবিতে আসিয়াছেন। তিনি অতিশয় রূপবান । তাহার মুখচন্দ্রম নিরীক্ষণ করিলে হৃদযাম্বুধি আনন্দে উদ্বেল হইয়া উঠে। আর এক আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, তাহার সহিত ধনজন মাত্র নাই, তথাচ তিনি কন্যার প্রতিজ্ঞ পূর্ণ করিতে অভূতপূৰ্ব্ব সাহস প্রকাশ করিতেছেন । তুমি কন্যাকে সংবাদ প্রদান কর, আমি রাজকুমারকে এই স্থানে আনয়ন করিতেছি । রাজকন্যা সুকুমারের আগমনবাৰ্ত্ত পূৰ্ব্বেই অবগত হইয়া সহচৰী সমভিব্যাহারে তাহার গৰ্ব্ব খৰ্ব্ব করিবার উপায় চিন্ত| করিতেছিলেন। এমন সময় রাজমহিষী দুহিতার নিকটবৰ্ত্তিনী হইয়া বলিলেন, বৎসে! তোমার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করিতে এক রাজপুত্ৰ উপস্থিত হইয়াছে, মহারাজ র্তাহাকে তোমার নিকটে লঠয়৷ আসিতেছেন, এখন তুমি কি করিবে স্থির কর। মহিষীর বাক্যাবসান হইতে না হইতেই একজন কিঙ্করী আসিয়া বলিল, ঠাকুরানি ! মহারাজ সেই রাজপুত্রের সহিত উপস্থিত হইয়াছেন । এই বাক্য শ্রবণে বানী কিঞ্চিৎ অন্তরালে দণ্ডায়মানা হইলেন। রাজা দুহিতার প্রকোষ্ঠে সুকুমারের সহিত আসন পরিগ্রহ করিলেন । রাজনলিনী, যুবরাজ হুকুমারকে দর্শন করিবামাত্র সগৰ্ব্বে স্বীয় সহচরীকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, আমি যুবরাজের নিকট বিংশতি সহস্ৰ স্বর্ণমুদ্রা প্রার্থনঃ