পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8、 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ অভিষ্টসাধন করাই প্রেম । তার সকলই কৃত্রিম । মীরসাহেব আপন বিপদ আপনি ডাকিয়া আনিয়াছেন। আপন মন্দ আপনি ঘটাইয়াছেন। আপন পায়ে আপনিই কুঠারাঘাত করিয়াছেন। রে সংসাব । রে লোভ ! তোর অসাধ্য কিছুই নাই । রে অর্থ বে জমিদারি ! তোবা না ঘটাতে পাবিস এ জগতে এমন কোন কু-কাৰ্য্যই নাই। মায়া, মমতা, স্নেহ, দয়া, ধৰ্ম্ম, সকলই স্বার্থের নিকট পরাস্ত । তোদের নিকট জিয়স্তে বলি । মীরসাহেবের দেবীপ্রসাদ প্রধান কার্য্যকারক। সা গোলামের সহিত র্তাহার বিশেষ ঘনিষ্ঠতা। কালের ধৰ্ম্ম ! সময় সময় তাহদের উভয়ে অনেক কথা, অনেক আলাপ হইয়া থাকে। কোন কোন দিন আবশ্বক মতে নিকটস্থ আমবাগানে, কি বকুলতলায় বসিয়া গোপনে কথাবাৰ্ত্ত হয়। প্রথম স্বত্রপাত, পরে অনেক কথা, দিন দিন বহু কথা, বহু যোগাড়, গোপনে গোপনে বহু মন্ত্রণা, বহু কাৰ্য্য সাধন হইতেছে ও হইযাছে। এখনও অনেক বাকি, সীমা পর্য্যস্ত যাইতে বহু বিলম্ব । তাই কথা ফোটে নাই, কেহ জানিতে পারে নাই । মীরসাহেবেরও কানে ওঠে নাই । রাত্র দুই প্রহব । দেবীপ্রসাদেদ বৈঠকখানাতেই আজ বৈঠক। দেবীপ্রসাদ ছোট একখানি জলচৌকির উপব । স! গোলাম বড়গোছের একটি মোড়ায় বসিয়া উভয়ে কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছেন। ঘরের এক কোণে মিটমিট করিয়া প্রদীপ জ্বলিতেছে । সে সময় কেবেসিন তেলেব চলতি হয় নাই । দিশি তৈল, দিশি প্রদীপ, দীপগাছা ও মাটির । দেবীপ্রসাদ বলিলেন : মীর এত্রাহিম হোসেনের ‘অছিয়তনামায়’ যাহা যাহা লিখা আছে তাহা তো অন্যথা কবিতে পারিবেন না । আমার বেশ মনে আছে, দুই ভ্রাতারই জমিদারিতে সমান অংশ। সাওতার বসতবাটিতেও তুল্যাংশ । কনিষ্ঠপুত্রকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন। কারণ অতিশৈশবকালেই মীরসাহেব মাতৃহাবা হন বলিয়া পদমদীর বাডি তাহাকে বেশির ভাগ দিয়৷ গিয়াছেন। সে বাড়ি এ বাড়ির ন্যায় পাকা নহে । সামান্ত একখানি ঘর, আর চতুর্দিকে প্রাচীর । বেশীব ভাগ পুষ্করিণী ও একটি আমবাগান মাত্র। মীর এত্রাহিম হোসেন আপনার শ্বশুবকে রাজী করিয়া, কন্যাদ্বয়কে বলিয়া পদমদীর বাড়িবিষয় মীর সাহেবকে অতিরিক্তরূপে দিয়া গিয়াছেন । একথা সকলেই জানে, অছিয়তনামাতেও স্পষ্টভাবে লিখা বৃহিয়াছে। بمثله