পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°台o মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ সাহেরের আদেশ হয় নাই বলিয়৷ তদারকে প্রবৃত্ত হন নাই । রীতিমত খোরাকি পাইতেছেন। থাকিবার স্থানও ভালই জুটিয়াছে। আহারাদি কবিয়া বিছানায় শুইয়া পড়িয়াছেন। অমুসন্ধানে জানিয়াছেন মাজিষ্ট্রেটসাহেব স্বয়ং তদন্তে আসিবেন । সূর্যোদয়ের সহিত স্থানীয় মাজিষ্টেটসাহেব বাহাদুর সদর দারোগ। ( পাবনাব ) ও সদরের বরকন্দাজগণকে সঙ্গে করিয়৷ শালঘর মধুয়ায় দেখা দিলেন । প্রথমে মিসেস কেনীর সহিত দেখা-সাক্ষাৎ করিয়া মোকদ্দমা তদন্তে প্রবৃত্ত হইলেন । মাজিষ্ট্রেট সাহেব আবও একবার কুঠিতে আসিয়া মিসেস কেনীর নিমন্ত্রণ রক্ষা করিয়া গিয়াছিলেন । সময় সময় চিঠিপত্র পাইতেন এবং লিখিতেন । প্যারীসুন্দরীর লাঠিয়ালের কঠি আক্রমণ করিয়াছে, অনেক সাক্ষী জবানবন্দি দিলেন । সাহেবপক্ষের দুইজন লোককে যে সাংঘাতিকরূপে আঘাত করিয়াছে, তাহারও বিশেষ প্রমাণ পাইলেন । জখমীদ্বয়কে মাজিষ্ট্রেটসাহেবের সম্মুখে বাঁশের চাঙ্গিতে শোয়াইয়া আনা হইল। সড়কির আঘাতে একজনের বক্ষভেদ, লাঠির আঘাতে অপরের মাথাফাট, তখনও নাক ও মুখ ভাসিয়া রক্ত পড়িতেছে । কথা কহিবার শক্তি নাই –বোধ হয় বাচিবে না । বঁচিবার ভরস। একেবারে নাই বলিলেও হয । মাজিষ্ট্রেটসাহেব বলিলেন, কুঠির লোক হইতে অধিক বিশ্বাস্ত প্রমাণ এই দুইজন লোক। কুঠির সহিত ইহাদের কোন সংস্রব নাই। সাওতার জমিদারের লোক। আপন জমিদারের পত্র লইয়া সাহেবের নিকট আসিয়াছিল। সাহেব কুঠিতে না থাকায় পত্রের উত্তর পায় নাই । বাধা হইয়া ইহারা আপিস ঘরের বারান্দায় রাত্রে শুইয়াছিল। প্রান্ডের ঘটনাসমুদয় প্রত্যক্ষ দেখিয়াছে। প্যারীস্বন্দরীর লোক যে যে প্রকার এই দুই ব্যক্তিকে সাংঘাতিকরূপে জখম করিয়াছে, তাহাও ইহার স্বচক্ষে দেখিয়াছে । ইহাই যথেষ্ট প্রমাণ, ইহরাই মূল সাক্ষী। উভয় জখমীকে পাবনার ডাক্তারখানায় ডাক্তারসাহেবের নিকট পাঠাইয় দিবার আদেশ করিয়া সাহেব খানার কামরায় চলিয়া গেলেন । মোকদম তদন্ত শেষ হইল। আপিস ঘরে কুঠির প্রধান নায়েব হরনাথ ঐ মিত্র এবং অন্যান্ত আমলাগণ বসিয়া মোকদ্দমার প্রমাণ, সাক্ষীর জবানবন্দি বিষয় আলোচনা করিতেছেন। পাবনার মোক্তার টান অধিকারীর নিকট পত্র লিখিতেছেন। সাহেৰ কুঠতে নাই, জাপিস ঘরেই তামাক চলিতেছে। কত ভালোক নায়েৰমম্বাশয়ের মুখের একটি