পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y& 3 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ --নিজে পেটে না খেয়ে বাবাকে খাওয়াইয়ে মাতুব কবিছি। ওর বয়স যখন সাংে চার বছর সেই সময় ওর বাপ মারা গেছে । আরে আল্লা ! সে কথা না আমার মনে গাথা আছে । হায় ! হায়! এখনও কলজে ফেটে যায়, এই সাহেবই তার হাতপ। টানা দিয়ে গাছে বেঁধে মার দিয়েছিলেন । তাতেই সারা ! যে বিছানায় পলো, আর উঠে বসলে না। আর ধানের ভাত মুখে গেল না । পেট দিয়ে থানা থান৷ রক্ত পড়ে মাসখানেক ভুগে ভুগে যেখানকার লোক সেইখানে চলে গেল। দুটো মুখের কথা কয়ে দেলস দেয়, এমন লোক দুনিয়ায় আমার কেউ ছিল না। এখনও নাই । খেয়ে না খেয়ে কালুকে মানুষ করেছিলাম। বাবা আমার ! কাল রেতে ভাত খেয়ে সাহেবের কামরায পাখা টানতে এসেছিল, বোজ বোজ বেলা উঠলে বাড়ি যায়, আজ দুদিনের মধ্যে তার খোজ-খবব নাই । লোকে যা বলছে তা মুখে আনতে পারি না । তোমবা আমাকে খুন কর।” হরনাথের তখন মেজাজ একটু গরম হইল। বলিলেন, “চুপ কব, চুপ কর । প্যারীসুন্দরীব লাঠিয়ালের যে কালুকে জখমী করেছে তাকি তুই শুনিস নাই ? মাজিষ্ট্রেটসাহেব তাকে পাবনার ডাক্তাবখানায় আবাম হবার জন্য পাঠিয়ে দিযেছেন। আরাম হলেই ফিবে আসবে যে কদিন কালু বাটিতে না আসতে পারে, সে কদিন তোমার খাবার কোন কষ্ট হবে না। এই চারিটি টাকা দিচ্ছি, পেট চালাওগে । ফুরাইলে আবার আসিও।” কালুর মাত কাদিতে কঁাদিতে বলিল, “নাম্নেবমহাশয় ! আমি তোমার টাকা চাহি না । অামি আমার বাবাকে পাবনায় দেখিতে চললেম ।’ এই বলিয়া কালুর মাত টাকা ফেলিয়। উচ্চস্বরে কাদিতে কাদিতে আপিস ঘর হইতে বাহির হইল । নায়েবমহাশয় চৈত সিং অর দুই-তিনজন লোককে তখনি আদেশ করিলেন হাবামজাদিকে ধরিয়া উহাব বাটিতে লইয়া যাও। কিছুতেই বাটি ছাড়িয়া অন্ত কোন স্থানে যাইতে না পারে। খুব সাবধানে রাখবে। খুব সাবধান ! শীণ্ড ধাও।” হুকুম পাওয়ামাত্র যমদূতেরা পুত্রহার ‘মায়ের প্রাণে নূতন রকমের যন্ত্ৰণী দিতে পার্ট ঘাড়ে কবির অমনি ছুটিল। স্বাসীর কষিার কেহ ছিল না। ষোড়শী মাত্র। গেঙ্গাপন খুঁড়েঘরে