পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

od 8 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ দেশময় লুটের কথা—খুনের কথা—সত্য কথা—নানা কথা—নানা লোক নানা প্রকার, প্রকাশ্বে গোপনে বলাবলি করিতে লাগিল। চারিদিকে হুলুস্কুল ব্যাপাব-তুমুল কাগু ! দশম তরঙ্গ আTrবক্ষপ রামলোচনের মুখে কথা নাই । লজ্জা রাখিবারও আর স্থান নাই। নিজে দলপতি হইয়া অপ্রস্তুত—শুধু অপ্রস্তুতের একশেষ । সঙ্গে সঙ্গে অর্থের বিনাশ– অযথা অর্থের শ্রাদ্ধ এবং শতমুখে নিন্দ । পারীসুন্দরীর নিকটে রামলোচন সকল কথা খুলিয়া বলেন নাই । সত্যমিথ্যা একত্রে, ভেলআসলে “আমেজ’ করিয়া যুদ্ধেব কথা শেষ করিয়াছেন —“সন্ধানী লোকে মিথ্যা সংবাদ দিয়াছিল। মেমসাহেব কি সাহেব কেহই কঠিতে ছিলেন না। অনর্থক যাইয়া ফিরিয়া আসিয়াছেন । কিন্তু সাহেব মোকদম সাজাইতে ক্রটি করেন নাই । কঠির উপর পর্য্যস্ত যখন চড়াও করা হইয়াছে তখন সাহেব অল্পে ছাড়িবেন না । কোনরূপ মিথ্যা ফাদে ভাল করিয়া আটকাইবার চেষ্টা করিবেন । কথা ক্রমেই বাড়িয়া গিয়াছে, সকলেই শুনিয়াছে, প্যারীস্বদেবীর লাঠিয়ালের সাহেবের কুঠি লুট করিয়া লইয়। গিয়াছে । ১০।১২টি লোক জখমী, তিনটি খুন!” প্যারীসুন্দরী এই কথা শুনিয়া একটুকুও ভীত হইলেন না । ক্ষণকালের জন্তও ভাবিলেন না । রামলোচনকে স্পষ্টভাবে বলিলেন, “বেশ হইয়াছে। আমার লাঠিয়াল কুঠি লুট করিয়াছে, দশজনের মুখে একথা শুনিয়াও আমার মুখ বোধ হইতেছে । আমি বাঙ্গালীর মেয়ে, সাহেবের কুঠি লুটিয়া আনিয়াছি, ইহা অপেক্ষ সুখের বিষয় আর কি আছে ! সাহেবের পক্ষে ১০-১২টি জখম, তিনটি খুল ! চিন্তা কি, মোকদমার পথে চলিলে প্যারীসুন্দরী কখনই হটিবে না। সদর নেজামত পর্য্যস্ত মোকদম চালাইবে । এতদিনে জানিলাম—কেনীর ক্ষমতাবল সকলি বুঝিলাম।-আমি যাহা ভাবিয়াছিলাম তাহা নহে। তোমরা ক্ষণকালের জন্যও অস্তরে ভয়কে স্থান দিও না । একবার—দুবার—না হয় তিনবার—চেষ্টার অসাধ্য কি আছে ? আবার চেষ্ট । এখন তোমাদের কার্য্য মোকদ্দমাক্স যোগাড় । অন্যদিকে আবার লাঠিয়ালসংগ্ৰহ। দেখি কয়বার ফাক ধায় । একদিন হাতে পাইবই পাইব । আরও একটি কথা আমি তোমাকে বলি, যে ব্যক্তি যেকোন