পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} to মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ শিক্ষা দিতে পারিলে না । ছি ! ছি ! বড় লজ্জাৰ কথা । বড় ঘৃণার কথা ! দেখ তো এদেশে আমরাই সকল, আমাদেরই দেশ, আমাদেরই লোকজন লইয়া একা কেনী, আমাদের উপর এত অত্যাচার, এত দৌরাত্ম্য, এত জুলুম করিতেছে। তোমরা শতসহস্ৰ লোক একত্র হইয়াও দুইবাবে কিছুই করিতে পারিলে না । নিশ্চয় জানিলাম তোমাদের মাথায় কিছুই নাই । কিছুই নাই –খালি হাড আর পচা মজ্জা । কি করি মনের দুঃখ মনেই রহিয়া গেল। আমি স্ত্রীলোক— কেনীর দেীরাত্ম্যে না টিকিতে পারিয়া এদেশের অনেকেই তাহার সহিত যোগ দিয়াছে, সত্য সত্যই কি তাহারা যোগ দিয়াছে ? মনেও করে ন!—সেকথা কখনই মনে করো না । সে যোগ দায়ে পড়িয়! সে প্রণয় না পারিয়া, সে ভালবাসা, সে আক্ষগতা —অপমানের ভয় প্রাণের ভয়, স্ত্রী-পরিবারের প্রতি অত্যাচারের ভয়, ভাবিয়: । যাহা মনে জাগে, তাহা তাদের মনে ও জাগে । তাহারা কি কেনীর কুটুম্ব না আত্মীয়, না দেশের লোক ? তাহদের নিকটে যাওয়া-আসা করা চাই । যথাসাধ্য গোপনে গোপনে তাহদেব সাহায্য, তাহাদেব দুঃখে দুঃখিত হওয়া চাই ! যাহাতে সকলের মন এক হয, তাহার উপায় কব চাই ! প্রকাশে যাহাই করুক, হিন্দুমুসলমানকে এক ভাৰ চাই । শক্রতা বিনাশ করিতে একতা শিক্ষা কব চাই । একতাক্ট সকল অঙ্কের প্রধান অস্ত্র । জাতিভেদে হিংসা, জাতিভেদে ঘৃণা দেশের মঙ্গলের জন্য একেবারে অস্তুর হইতে চিবকালের জন্য অস্তুর করা চাই । সকলের একপ্রাণ–একদেহ হষ্টয়া কার্যক্ষেত্রে প্রবেশ করা চাই । একভাবে, একমতে বুদ্ধি চালনা করা চাই । আমি যতদূব জানিতে পারিয়াছি, যাহার কেলীর পক্ষে আছে তাহারা মলের সহিত আমার বিরুদ্ধে দাডাক্টবে না । কেনীর মন যোগাইতে ইছু কবিৰে মাত্র । চেষ্টা করিলে, বিপদকালে সকলেই সকলের উপকার করিতে পারে। অর্থবল আর বাহুবলক্ট যে বল তাহা নহে । শক্র দমন করিতে হইলে, জঙ্ক বলেরও আৰশুক । চেষ্টা করিলে সকলেষ্ট সকলের কিছু না কিছু উপকার করিতেই পারে। আমি অর্থের বল চাই না । বহুবলেরও তত দরকার করিতেছে না। ঈশ্বর আমাকে এ দুই বল বা দিয়াছেন কেনীর জন্য উহাই যথেষ্ট । যে বলের অভাব সেই বলের জন্বেষণ কর। যদি পাও, সাহায্য চাও—সাহায্য লও। আর । কের্মী ৰে বলে বলীয়াম, তার অনুকরণ কর । দেখি, কেনী বায় কোথা? একী কেনী-জালিবার দিন একখানি বেত, আর একটি টুপি লইয়া আসিয়াছিল, তা লোকেরকাছে গল্পও করে যে, আমার ক্ষেত-টুপি লার। যদিপলাই থাকতে পারি: