পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা $(tసా দেবীপ্রসাদ বলিলেন, স্ত্রী, পরিবাব বিহীন গৃহী বড়ই অমুখী। ঘরের লক্ষ্মীই ঘরণী । যদি তাহাতেই অনিচ্ছা, তবে একেবারে সর্বত্যাগী হয়ে “ফকিরী* গ্রহণকরাই ভাল। গৃহী অথচ কিছুই নাই। হুজুর । এর অর্থ আমরা বুঝতে পারিনা। মীরসাহেব বলিলেন, আবার ! —জেনেশুনে আবার ! যে নূতন সংসারী তার কাছেই সংসার স্বখের। ভূক্ত ভোগীর নিকট অন্য প্রকার। সে র্যাঙ্গে আবার পড়িব । সংসারে সুখ নাই । যদি বলেন আমার বংশলোপ হইবে, ীে, পুত্র, কন্যা, কিছুই নাই। তাহাতে দুঃখ কি ? কতলোকের সস্তান জন্মিবে, ৰংশরক্ষা করিবে। আমার নাইবা হইল। আমি স্ত্রী, পরিবার এবং দুনিয়ার সুখ দুঃখ ভাল কবিয়া ভোগ করিয়াছি । সস্তানের সাধ, বিষয় সম্পত্তির সাধ সকলি মিটাইয়াছি। আমোদ আহলাদেব সাধ মিটাইতেও কম করি নাই। আর কেন ? অনেক হইয়াছে । বয়সের সঙ্গে শরীরের অবস্তাব সঙ্গে সংসারীর অনেক কার্ষে যোগ আছে । দেবীপ্রসাদ বলিলেন, আপনি যদি বয়সের কথা পাড়েন, তবে ত, আমরা মারা গিয়াছি। বড় মীরসাহেব আমার ছোট ছিলেন । বয়সে কি করে ? মীরসাহেব বলিলেন, বয়সে কিছু না করুক। আমি আর ও ফাদে পা দিতে ইচ্ছা করি না। আমার গায়ে বাতাস লাগিয়াছে। সৰ্ব্বস্ব গিয়া একটি মাত্র ছিল তাহাও যখন গেল, আর আশা কি ? সকলি ঈশ্বরেব কৃপা । এখন আছি ভাল । দয়াময়ের দয়ায় এখন আছি ভাল । - কথাবার্তা হইতেছে, এমন সময় কেনীর চাকর কলিমসর্দার আসিয়া, সেলাম বাজাইয়া বলিল,— হুজুর ! —সাহেব ! —এই ডিহীতে নীল দেখিতে আসিয়াছিলেন, হুজুরের আমবাগানের নিকট, হাতীর উপরে আছেন, কি কথা আছে—সেলাম দিয়াছেন। মীরসাহেব যে অবস্থায় ছিলেন, সেই অবস্থাতেই বাগানের নিকট গিয়া, কেনীর সহিত সাক্ষাত করিলেন। অনেকেই দূরে দঁাড়াইয়া তাহাদের সাক্ষাতদৃপ্ত দেখিতে লাগিল। কথাবার্তা স্পষ্ট ভাবে হইলেও দূরত। হেতু কেহ স্পষ্ট ভাবে বুঝিতে পালি না। কেবল সময় সময় কেনীর মুখে চক্ষে, রাগের চিহ্ন দেখা-জার