পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

靴ア মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ সতর্ক হইয়া তত্ত্বাঙ্গুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইল। সুকুমার নৃপতিসন্নিধানে উপবিষ্ট হইয়। ভ্রমণবৃত্তান্ত বর্ণন করিতেছেন, এই অবকাশে রাজকন্যার সহচরী সুকুমারের নির্দিষ্ট বাসস্থানে এরূপ কৌশলে আত্মগোপন করিল যে, সমুদায় দেখিতে পায়, কিন্তু তাহাকে কেহ দেখিতে পায় না। রাজদুহিতা সুকুমাবকে আহবান করিয বলিলেন, রাজপুত্র। গজমুক্ত হাব পরিপন করিতে আমাব একান্ত ইচ্ছা হইযাছে, আপনি একশত মূক্ত প্রদান করিয়া বাঞ্ছাপূর্ণ করুন । বাজনন্দন অবিলম্বে শয়নালয়ে উপস্থিত হইয়া দ্বারাবরোধ পূর্বক করস্থ অঙ্গুরীয়ককে বলিলেন, প্রিয অঙ্গুরি । অদ্য রাজকন্যাব বাসনা পূর্ণ কর । এই কথা বলিবামাত্র একশত গজমুক্ত নিকটস্থ হইল। তিনি তৎক্ষণাৎ সেইগুলি বস্তুমণ্ডিত করিয়া স্বয়ং রাজকুমারীর সন্নিধানে প্রফুল্লান্তঃকবণে উপস্থিত হইলেন । চতুরা সহচরী গোপনভাবে থাকিয়া সমুদায় অবলোকন পূর্বক বিস্মিতাস্ত:করণে নিঃশব্দে গৃহ হইতে বহির্গত হইয়া নৃপনন্দিনীর নিকট উপস্থিত হইল । যুবরাজ কন্যার প্রার্থিত গজমুক্ত প্রদান করিয়া স্বস্থানে প্রস্থান কবিলে সহচরী রাজকন্যার সম্মুখবর্তিনী হইয়া সমুদায় বর্ণন করিল। নৃপক্ষতা শুনিয়া বিস্ময়োৎফুল্ল লোচনে কহিলেন, সখি ! আমি যাহা চাহিব, নৃপনন্দন তাহাই অনায়াসে প্রদান করিবেন, সুতরাং আবি দুই দিবস পরে আমারে তাহার ক্রোড়গামিনী হইতে হইবে । আমি যে, এত রাজপুত্রকে কৌশল চক্রে বদ্ধ করিয়াছি, বোধহয়, তাহার প্রতিশোধ লইতেই এই মহাত্মা আগমন করিয়াছেন। অতএব এখন উপায় কি করি, স্থির কর । সখী ঈষৎ হাস্ত করিয়া কহিল, রাজনন্দিনী! চিন্তা কি ? যখন অঙ্গুরীয়কের সন্ধান পাইয়াছি, তখনই আপনার অভীষ্ট সিদ্ধ হইয়াছে । আর চিন্তা নাই । আপনি রাজকুমারের নিকট র্তাহার করস্থিত অঙ্গুরীটি প্রার্থনা করিবেন। তাহাতে দুই প্রকারেই আপনার ইচ্ছা ফলবতী হইবে । কেননা যদি রাজনন্দন অঙ্গুরীয়ক প্রদানে অস্বীকৃত হন তাহ হইলেও তিনি আপন প্রার্থিত বস্তু প্রদানে অক্ষম হইলেন এবং যদি প্রদান করেন, তবে আপনি পরদিন যাহা প্রার্থনা করিবেন, অজুরী না থাকিলে তিনি কখনই তাহা দিতে সমর্থ হইবেন না। অতএব সৰ্বথা আপনার মঙ্গল দেখিতেছি । রাজতনয়৷ এই বাক্য শ্রবণ করিয়া খারপরনাই আহ্নাদিত হইলেন। ষষ্ঠ দিবস উপস্থিত হইলে, যুবককে আহবান করিয়া বলিলেন,