পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথ। ა&ტ ჯ বিবাদ থাকিবে ঈশ্বব জানেন । আবার এই সম্মুখেব চর লইয়া বিবাদ উপস্থিত, নকসাটাব নিতাস্তই দরকার হইয়াছে । “থাকের নকসা কেন ? আমি অনেকদিন হইতে ভাবিয়া স্থির কবিয়াছি, বিষয়াদিব যাবতীয় দলিল এক ফিবিস্তি কবিয়া “ফুল মিয়াকে” বুঝাইয়া দিব । যাহাদেব কাজ তাহারা দেখে শুনে করুক। আমি আব ও ঝঞ্চাটে থাকিতে ইচ্ছা করি ন! । আজ সমুদায দলিল বুঝাইযা দেও।” জামান্তবাবু শ্বশুবের কথা শুনিয়া চমকিয় উঠিলেন ! অস্তরে আঘাত লাগিল । এ অন্ত আঘাত নহে, এ দুঃখেব আঘাত নহে, ভক্তির সহিত প্রেমের আঘাত ও নহে । এ গ্লানি ! এ আত্ম-প্লানির বিষম আঘাত । যাহপি সৰ্ব্বনাশ কবিতে তিনি বদ্ধপবিকব হইয়া কাৰ্য্যক্ষেত্রে দ গুণয়মান হইয়াছেন, সাতব প্রাণ পর্য্যস্ত বিনাশ কবিবাব কথা সময সময় অতিগোপনে মুখে আনিতেছেন, অস্ত্ৰে খন, কি ঔষপে, নিজে কি অপবেব দ্বাবা, এ চিস্তা ও মস্তকে আনয়ন কবিয়াছেন, যাহাব মুখ দেখিতে চক্ষু নাবাজ তাহার এই ভাব ? এমন সবল ভােব এমন প্রেমপূর্ণ—পবিত্র ভগব ? কি ভালবাসাব কথা । “যাহাদেব কাজ তাহাব করুক।” স গোলাম অস্থির হইলেন। মনে সেই একপ্রকার নূতন ভাবের দেখা দিল । কিন্তু সে ক্ষণস্থাযী শক্তিছটা—একটি কথায়, কোথায সবিয়। গিয, ভয়েব সঞ্চাপ হইল, হৃদয কাপিয় গেল, অঙ্গ শিহবিয়া উঠিল, বুক শুকাইয়া দূর দূর কবিতে লাগিল কথাটা কি ? কথা আৰ কিছু নহে, মীরসাহেব মাঙ্গনকে দলিলের বক্স আনিতে আদেশ করিয়াছেন, সমুদায দলিল এখনই জামাইবাবুকে বুঝাইযা দিবেন। কোন কোন পাঠক জিজ্ঞাসা কবিতে পারেন যে, ও কথায় অঙ্গ শিহরিবে কেন ? ভয়েবই বা সঞ্চাব হইবে কেন ? জামাইবাবু, তো একপ্রকাব শুভ সংবাদ, মঙ্গলের কথা—আননেদব কথা । তাহী নহে, পাঠক । তাহা নহে, অনন্দেব কথা নহে, সম্পূর্ণ নিবানন্দ । মহা-সঙ্কট । এবং বিষম ভয় । এখনও বুঝিতে পারেন নাই ? জামাইবাবুব মুখশ্ৰী, বিশ্ৰী হইয়া ধূলা উডিবাব কারণ এখনও বুঝিতে পারেন নাই ! “র্তাহার সেই চুরি কবা বাক্স।” সেই বাক্সটিই যদি দলিলের বাক্স হয়, ঐ নিশীথ সময়ে তোষাখানাব মধ্যে হামাগুড়ি পাড়িয়া যাইয়া চুবি করা বাক্সটি যদি দলিলের বাক্স বলিয়া চিহ্নিত থাকে, তবে তে এখনই মহা-গোলযোগ উপস্থিত Y }