পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা SJst আমলা তাহার সম্মুখে না যায়। মেমসাহেবের পিয়ানোর আওয়াজ, আর গলার মিহি-স্বর শুনিয়াই কাৰ্য্যকারকগণ বুঝিয়াছিলেন যে, আজ আমোদের দিন । আমাদেরও ছুটি । কেহ দাবায়, কেহ পাশার খ্যালে বসিলেন । কেহ অন্ত আমোদে মন দিলেন । ক্রমে দিনমণি অস্ত—সম্পূর্ণ অস্ত । ঘোর সন্ধ্যা । কোথাও লণ্ঠন জলিল, কোথাও প্রদীপ দেখা দিল । কোথায় কোথায় মোমবাতি শোভা পাইল, ঝাড়ে, দেয়ালে, বৈঠকি সেজে, লণ্ঠনে নিজে পুডিয়া আমোদে গলিয়া পড়িতে লাগিল। সোনাউল্লা সাহেবের কযেকজোডা কাপড তুলিয়া চিকণী, ব্রাস, গ্লাস, অল্প পবিমাণ কিছু খাদ্য পুবিয একটি পোর্টম্যান সাহেবেব সম্মুখে বাখিয়া দিল । আহারেব টেবিল সাজান হইয়াছে । কেনী তাড়াতাডি আহাবে বসিলেন । মিসেস কেনী টেবিলে বসিলেন, কিন্তু আহাব করিলেন না। কেনী সামান্য কিছু মুখে ফেলিয়া টেবিল হইতে উঠিলেন । সোনাউল্লাব মুখেব দিকে তাকাইতেই সোনাউল্লা যোডহাতে বলিল— “খোদাবন্দ পালকি বেহfবা হাজিব ।” কেনী দেশলাই জালাইযা পাইপ মুখে ধরিলেন, এবং বলিলেন, সব ঠিক ? সোনাউল্লা পূৰ্ব্ববং বলিল—খোদাবন্দ ! সকলি ঠিক । কেনী মুদুস্ববে কযেকটি কথা মেমসাহেবকে বলিয়া সোনাউল্লাকে বলিলেন দেখ, বাবুরচিকে গিয়ে বল, ভাল ভাল খান তৈয়াব করিতে। আব ষ যা করতে হবে মেমসাহেবের কাছে শুনবে । এই বলিয়াই মেমসাহেবের হাত ধরিয়া নীচে নামিলেন । সিড়িব নিকটে পালকি, পালকিতে উঠিবার সময কাহাকে কোন কথা বলিতে অবসব পাইলেন না । কাবণ, স্ত্রীর-মুখে গাঢ়ভাবে চুম্বন করিতেই অন্য কথা ভুলিয়৷ গেলেন। চুম্বনেব স্বাদ লষ্টয পালকির দবওযাজা বন্ধ হইল। বেহারীগণ নিঃশব্দে কুঠির পশ্চাৎ দ্বার হইতে বাহির হইয়া দক্ষিণমূখে চলিল। কিছু দূর গেলেই মশাল, মশালচি, লোকজন সকলি সঙ্গে হইল। পালকি দক্ষিণদিকেই চলিল। কুঠিতে সোনাউল্লা এবং মেমসাহেব ভিন্ন, কেনীর গমন ংবাদ কেহই জানিতে পারিল না । জানিবার কথাও নহে । মেমসাহেব উপরে আসিয়াই জাকালভাবে খানার টেবিল সাজাইতে আদেশ করিলেন। রূপার চামচ ইত্যাদি বাহির করিয়া দিলেন । সমুদায় ঝাড়ে