পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা >や" ● দিন স্তন্দবপুবে যাইতেছে । —সুন্দবপুরেব গুপ্তচর সংবাদ দিয়াছে যে, কেনী আজ কুঠিতেই আছেন। আমোদে মাতিয়া আছেন। ব্রাশুি-পানিতে মাতয়ারাবিভোব । মেমসাহেব পিয়ানো বাজাইতেছেন । হাসি-তামাসা খুব চলিতেছে —ইত্যাদি— মিসেস কেনী আজ যে অভিনয় ভার গ্রহণ কবিয়াছেন, কুতকার্য্য হওয়া বডই কঠিন। তবে ভরস। এই যে, স্বয়ং-নেতৃ—সোনাউল্লা সাহায্যকারী— আগন্তুক পাবনাব দল প্রকাশ্বে সাহায্যকারী না হইলেও শান্তিরক্ষক, বিচারক । এবং প্রত্যক্ষ প্রমাণস্বরূপ, পবিদশক । সোনাউল্লা মেমসাহেবের নিকট বলিল “হুজুব মীবসাহেব তাহার নিতান্ত বিশ্বাসী লোকদ্বাবা এই পত্র পাঠাই যাছেন সে আপনাব সহিত দেখা কবি তে চাহে । পত্রের লিথ ছাড | অবও কি কথা আছে ।” মিসেস কেনী অতিক্রস্তে নীচে আসিয়া গোপালকে দেখিযাই চিনিলেন । বলিলেন, “গোপাল । খবব কি ?” গোপাল সেলাম বজাইয! বলিল—“হুজুর ঃ একশত আসিলাছে । আব সমুদায ঠিক । আফিসঘবে ইহাদেব স্থান দিলে ভাল হয় ।” মিসেস কেনী আফিসঘবের দ্বাবলনকে ডাকিয়! বলিয দিলেন । গোপাল এবং গোপালেব সঙ্গির আফিসঘরে স্থান পাইল । মিসেস কেনী মণজিষ্ট্রেট সাহেবেব নিকট বসিয়া খোস-গল্প কবিতেছেন । আবাব সোনাউল্লা আসিয়া কবযোড়ে বলিল—“হুজুর । সানাল মহাশয় সাহেবের নিকট বিশেষ কি কথা বলিতে চান ।” মিসেস কেনী বলিলেন-—“তুমি গিযে দেওয়ানজীকে বল, আজ সাহেবের শরীর অসুখ ।” সোনাউল্লা চলিয়া গেল, মুহূৰ্ত্তপবেই ফিবিয়া আসিয়া বলিল—“হুজুর ! বড় জব্ৰুবী খবর—তিনি বলিলেন—“যদি সাহেবের শরীব অসুখ হইয়া থাকে তবে মেমসাহেবের নিকটেই বলিতে হইবে । বড়ই জরুরী কথা ।” মিসেস কেনী উঠিলেন এবং সিডির নিকটে আসিয়া শম্ভু সান্তালকে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“কি কথা ?” সান্তাল মহাশয় বলিতে লাগিলেন—“হুজুর । এখনই খবর পাইলাম যে,