পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ববতী S রাজকুমার! অদ্য আমি একটি মাণিক্যাঙ্গুরী প্রার্থনা করিতেছি। ভবিষ্যৎ-জ্ঞানশূন্ত নির্বেধ রাজকুমার অঙ্গুরীয়কের নিকট মাণিক্যাঙ্গুরী যাচঞ্চা না করিয়া আপন অঙ্গুলস্থিত অঙ্গুরীটি তৎক্ষণাৎ সখীর হস্তে অর্পণ করিলেন। সহচরী রাজতনয়াকে অঙ্গুবী প্রদান করিয়া বলিল, আপনার বাঞ্ছা সিদ্ধি হইল, অrর চিন্তা কি ? ৰূপতনয়া সহাস্য বদনে অঙ্গুরী পরিধান করিলেন । বাজপুত্র বাসস্থানে উপস্থিত হইয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন, অঙ্গুরীয় প্রাপ্ত হইয়া রাজকন্যা সন্তুষ্ট হইয়াছেন ; বোধহয় অন্য কোন বস্তু আর প্রার্থনা করিবেন না । এই সময় দিননাথ অস্ত চলে গমন করিলেন । দিকসকল যেন ভূপতি পুত্রেব ভাবী দুঃখেই মলিন হষ্টল। নির্বোধ রাজপুত্র দুরাশার বশবৰ্ত্তী হইয়া রজনীর অস্তকাল মূহুর্মুহু: প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন। কেননা তাহার মনে দৃঢ় প্রত্যয় হইয়াছিল যে, প্রভাতেই রাজকন্তর পাণিগ্রহণে মুখী হইবেন । শশিসীমস্তিনী যামিনী বাজপুত্রের ভাবী দুঃখে দুঃখিনী হইয়া গমনসময়ে বিহগকুলের কলরবই যেন ক্ৰন্দন এবং শিশির পতনচ্ছলেই যেন অশ্রু বিসর্জন কবিতে করিতে প্রস্থান কবিলেন । কমলমুখী রাজকন্যার শুভোদেশেই যেন স্বৰ্য্যদেব উদিত হইলেন । তদর্শনেই যে তিনি প্রফুল্ল হইলেন ইহাতে আর আশ্চর্যা কি ? প্রাতঃকালেই রাজ রাজসভায় উপস্থিত হইলেন এবং সভাসদগণকে সম্বোধন করিযী বলিলেন, অন্ত আমার কি শুভদিন ! এত দিনের পরে বুঝি জগদীশ্বর আমব প্রতি সদয় দৃষ্টিপাত করিলেন । যাহা কখনই সংঘটিত হইবে না মনে ছিল, অন্য তাহাবই সংঘটনের লক্ষণ সকল প্রত্যক্ষ করিতেছি। কতশত রাজপুত্র আমার দুহিতার মনোরথ পূর্ণ কবিতে না পারিয়া চিরকালের নিমিত্ত কারাবাসী হইয়াছেন । স্বকুমার ষষ্ঠ দিবস তাহার কাজি ত বস্তু প্রদান করিয়াছেন । অন্ত সপ্তম দিবস। বোধ হয়, ঈশ্বরের কৃপায় তিনি কৃতকার্ষ্য হইবেন । সভাসদের রাজার বাক্য শ্রবণ করিয়া বলিলেন, রাজকুমারের লক্ষ দেখিয়! বোধহয়, তিনি সীমান্ত মহন্ত নহেন । তিনি যে, অদ্য আপনার দুহিতার অভিলষিত দ্রব্য দানে তীয় পাণিপীড়ন করিবেন, তাহাতে সংশয় হইতেছে না। ওদিকে রাজপুত্রী নৃপপুত্রকে আহবান করিা সাদর সম্ভাষণে বলিলেন, রাজপুত্ৰ ! আমি আপনার সোঁজ ও বৃদ্ধিকৌশলে যারপরনাই সন্তুষ্ট হইয়াছি। অন্য আমার প্রাধিত বস্তু প্রদান করিয়া প্রতিজ্ঞ পূরণ করুন। আর একট