পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S १२ মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ থাকুন। আমি নীচে যাইতেছি । গভর্ণমেন্টব বাজ্য—আমি ব্রিটিশ গবর্ণবের পক্ষের লোক। আমি থাকিতে আপনাব কোন ভাবনা নাই। আপনি নিৰ্ভয়ে উপরে থাকুন। আমি নীচে চলিলাম।” ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব তাড়াতাড়ি আপন পরিচ্ছদ লইযা জোবপায়ে নীচে নামিলেন। প্যরীসুন্দরীর লাঠিয়ালের বিষম বিক্রমে কালীগঙ্গার পশ্চিমপারে আসিয়াই পুনরায় ডাক ভাঙ্গিল। দারোগ, জমাদার সকলেই আপন আপন পোষাক লইয়া সাহেবেব আদেশে কোমর বান্ধিলেন, কিন্তু ঘবেব বাহিব হইলেন না। কুঠিরহাতায় প্রবেশ কবিলেক্ট গ্রেপ্তাব কবিবেন. ইহাই তাহদেব ইচ্ছা,—ঘটিলও তাহাই । এখন ও রাত্র-প্রভাত হয় নাচ, উষা দেখা দেয় নাই—তাবাদল লইযা তারাপতি এখনও স্ব-স্তানে চলিযা যান নাই । একে একে যাইতেছেন—এখন ও সম্পূর্ণরূপে চক্ষের আডাল হন নাই । আবার সেই হে হে শব্দ । সেই ঋ ঋ শব্দ ! সেই হৃদয়-কম্পিত, দেহ-কম্পিত শব্দ –ভীষণ বব মেমসাহেবের কণে প্রবেশ করিল। পশ্চিমে ও ঐ শব্দ দক্ষিণে ও ঐ ! বামলোচন এবাবে বিশেষ যোগাড় কবিয়াছেন । কুঠির পশ্চিম এবং দক্ষিণ উভয়দিক হইতে কুঠি আক্রমণেব যোগাড় । মিসেস কেনী, দুইদিকে দুইপ্রকাব শব্দ শুনিয়া আরও ভীত। হঠলেন । নিমকহালাল চকব সোনাউল্লাব চক্ষে নিদ্রা নাই । কি হঠল ? –একি ব্যাপার ? সাহেব কুঠিতে নাই, একি কাণ্ড । এই সকল ভাবনা ভাবিতে ভপিতে মহা-অস্তিব । একবাব নীচে একবার উপবে যাইতেছে। ক্রমে কুঠির নেগাহবান সর্দাবগণ ও জাগিয়া উঠিল—ঢাল, সডকি, লাঠি লইয়! সকলেই খাড হইল । সোনাউল্লা সিডিব নিকটে মেমসাহেবকে পাঠয বলিল, “হুজুব । মীবসাহেবেব চাকর গোপাল সৰ্দ্দবি হুজুরে সেলাম দিতে চায ।” বোধহয় পাঠকগণেব মনে নাই—মনে করিষা দিতেছি । মীরসাহেব আমবাগানের নিকট কেনীব সহিত সাক্ষাৎ কবিয়া আসিয। যে লাঠিয়াল জোটাইতে আদেশ করিয়াছিলেন—সেই আদেশেই সর্দারগোপাল একশত লাঠিয়াল সংগ্ৰহ করিয়া আসিয়াছে । আফিসঘবে স্থান পাইয়াছে । মিসেস কেনী বলিলেন—“গোপাল । তুমি আমার এই ঘর রক্ষা কর ।