পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা סף צ কুঠির লাঠিয়ালেবা কুঠি রক্ষা করিবে। প্যারীচন্দবীব লাঠিয়ালেব সম্মুখীন হইয়া লাঠি মাবিবে—তুমি আমাকে রক্ষা কব। " পুনবায দক্ষিণদিকে পূৰ্ব্ববৎ শব্দ হইল—গোপাল বলিল—হুজুর ! প্যারীসুন্দরীব লোক পশ্চিম এবং দক্ষিণ এই দুইদিক হইতে নিশ্চযই আসিতেছে। দক্ষিণদিকে কোন বাধা নাই । পশ্চিমে নদী—বেশী জল—অধিক পবিমাণ পবিসর না হইলেও নদী—কিন্তু দক্ষিণে খোলা মাঠ, পূৰ্ব্বেও তাঁহাই। পূৰ্ব্বদিকে তত আশঙ্কা নাই । কারণ দক্ষিণদিক হইতেই পূৰ্ব্বদিকে যাইবার পথ । এখন দক্ষিণদিক না ঠেকাইলে কুঠি পক্ষ কবা বডক্ট কঠিন হইবে। পশ্চিমে নদী—জল কম হইলে ও তত্ৰাচ ঐদিক হইতে • ক্রদল আসিতে যত বিলম্ব হইবে, দক্ষিণদিক হইতে আসিতে তত বিলম্ব হইবে না। আমি দক্ষিণদিকেই চলিলাম। হুজুব ! অfব বিলম্ব কবিতে পাবি না । —এই পর্য্যন্ত বলিয়া গোপাল মেমসাহেবকে আবার সেলাম বাজাইযা বেগে ছুটিল । কুঠির নিযুক্তিয় লাঠিয়ালের ও ডাক ভাঙ্গিয়া কুঠির পশ্চিম দিকে দ্বিতল গৃহের পশ্চিমদিকে ‘ অনি” দধি দাডাইল । কত লোক কুঠিব উত্তব সীমায় প্রবেশ দ্বাবে চল, তবব:ব পাধিয়া খাড়া হইল। এখনও সম্পূর্ণরূপে প্রভাত হয় নাই । গোপাল সদার অপেন বেবাদবাদিগকে বলিল “দক্ষিণে এত আলো কিসেব ?” সকলেই দেখিল অনেকেব হাতেই মশাল । মশালেব আলোতে আরও দেখা গেল, সড়কিব অগ্রভাগেব চাকচিক্য, লাঠির দীর্ঘত, কোমববন্ধিা, মুখপাট্ট বান্ধ, বঙ্গলব যোধ, অগণ্য লাঠিযাল দেখিতে দেখিতে বিকট চিৎকব করিতে করিতে ক্রমেই অগ্রসব হইতেছে । কালীগঙ্গাব পশ্চিম পারেও ঐরূপ আলে, ঐ প্রকার বিকট রব,— মাঝে মাঝে ভয়ানক চীৎকার,—দেখিতে দেখিতে কালীগঙ্গার পশ্চিমতট আলোকমালায় পরিশোভিত হইল— জলে-স্থলে জলন্ত মশালের শিখা অধো-উৰ্দ্ধভাবে প্রভাত বায়ুর প্রতিঘাতে হেলিতে দুলিত লাগিল। চমৎকার দৃশু ! সে স্বধৃত বেশীক্ষণ থাকিল না। উষাদেবী পূৰ্ব্বদিক হইতে দুহাতে অন্ধকার সরাইয়া চাবিদিক পরিস্কার করিয়া দিলেন। প্যারীসুন্দরীব লাঠিয়ালের ‘মার মার’ শব্দে গঙ্গাজলে