পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ৭৬ মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ আজ খালি হাতে যাবাব লোক নাই । তোমার মাথা হাতে হাতে সুন্দরপুর যাইবে । বাহিব হও, শীঘ্র বাহির হও । মিসেস কেনী ভয়ে কঁাপিতে লাগিলেন । ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব নানাপ্রকার সাস্তুনা বাক্য বুঝাইয়া শেষে বলিলেন, আপনার কোন চিস্ত নাই –ঐ লাঠিয়ালের অাব একটু অগ্রসর হইলেই পাকডা ও কবিব । আপনি ব্যস্ত হইবেন না। মুখেব কথা মুখে থাকিতে থাকিতে লাঠিয়ালেব লাঠি ভাজাইতে ভাজইতে একেবাবে সি ডিব নিকটে আসিয়া ঘরে প্রবেশ করিতে উদ্যোগ করিল। এমন সময লালপাগডিবাধা কয়েকজন লোক বাহিরে অসিয৷ ‘পাকড়ো পাকডো’ শব্দ কবিয়া ছুটাছুটি আবস্তু করিল। লাঠিযালেব চক্ষে লালপাগড়ি বড়ই মারাত্মক অস্ত্র, বড়ই ভয়ের কণবণ । —নামডাকব লাঠিয়াল হইলেও লালপাগড়িব নিকট মাথা হেট । লালপাগডি দেখিয়। প্যারীসুন্দরাব লাঠিয়ালগণ থতমত খাইয়া দাড়াইল । দাড়াইয; যাহ। দেখিল তাহতে পূৰ্ব্বভাব অনেক পরিবর্তন হইল। স্পষ্ট বলিতে লাগিল । যা থাকে কপালে হইবে আগে ধব বেটাকে । এই কথা বলিয়াই আবার যেন কি মনে হঠল –পিছে ইটিল । ক্রমেই পিছে হটিতে লাগিল। একজন বলিতে দশজন কলিম উঠিল । ও তো কেনী সাহেব নহে? আমি বেশ চিমিতে পারিয়াছি, কখনই ও কেনী নহে । সন্দেহটা শীঘ্রই মিটিয়া গেল । কারণ ললিপাগড়িওয়ালা সেপাই সাহেবরা পাকডো পাকডো’ বলিয়া বেগে ছুটলেন । মাজিষ্ট্রেট সাহেবও স্বয়দলের পৃষ্ঠপোষক হইয়া ঔ বোল পাকড়ো”, দারেগা, জলদি পাকড়ে, লোককো হাতকৌড়ি 司怜巾5一 লাঠিয়ালেবা বলিতে লাগিল । “আজি মাবা গিয়াছি। ধরা পড়িলাম। এতদিনের পকে মাবা পড়িলাম। আর দেখ কি, ও কেনী নহে ! আমি ভাল করিয়া চিনি, ইনিই সেই ম্যাজিষ্ট্রেট—” ইহারাও পাকড়ে পাকডো’ করিয়া ছুটিয়াছেন, কিন্তু একজনকেও পাকড়াতে পাচ্ছেন না। পিছে হটিয়াই নদীতীর পর্যস্ত চলিয়া গেল। লালপাগড়িধার সেপাই সাহেবের মুখে পাকড়ে পাকডো’ করিতেছেন, পাকড়া করিবার জন্য হাত বাড়াইয়া দিতেছেন কিন্তু তাহদের লাঠির নিকট যাইতে সাহসী হইতেছেন না ।