পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Уty o মীব'মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ হইব । নতুবা এই শেষ দেখা—শেষ বিদায় । আমরা চলিলাম। এই কথা বলিয়াই লাঠিয়ালের ঢাল, সড়কি ফেলিয়া তখনি চলিযা গেল । কাছারি আঙ্গিনায় দ্বারোগার মুতদেহ পডিয়া রহিল । কার্যাকারক মহাশয় কি করিবেন, কোথাকাব খুন কোথায় আসিয়া পড়িল । কাহার ঘাড়ে চাপিল। যাহারা খুন করিল তাহাব! তো চম্পট । তাহদের বাড়ি কোথা ? কি নাম কাহারও জানা নাই । সকলেই অচেনা। মাহাম্মদ বক্সের শরীর সহস্রথ েগু খাঁ গুত হইয়া চপাইগাছি বিলের মধ্যে নিক্ষিপ্ত হইল। প্রকাগু বিল—কোথায় কোন মাছ বা কচ্ছপেব উদরে গিয়া পড়িল, কে বলিতে পারে ? কাল মাহাম্মদ বক্স পাবন—আজি মৎস্য-কচ্ছপের উদরে । মাজিষ্ট্রেট সাহেব কুঠিতে আসিয়াই শুষ্টয়া পড়িয়াছেন । নিদ্রার-কোলে অচেতন হন নাই । ভাবট অচেতনেব । মনে মনে নানাচিস্তু], মাহাম্মদ বক্সের পরিণাম দশা—পবাধীনতার প্রত্যক্ষ প্রতিফল । চাকুবীর দাযে প্রাণ বিযোগ— কি উপায়ে অপরাধীগণকে ধুত করিযী শাস্তি দিবেন, বোধহয় এই সকল চিন্তাই চক্ষু বুজিয়া করিতে ছিলেন। কিছুক্ষণ পবে জমাদাব, ববকন্দাজ প্রভৃতি সঙ্গিয় লোকজন আসিয়া জুটিল --সাহেব সংবাদ পাইয়া শয্যা হইতে উঠিলেন । এবং জমাদারকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন । “মাহাম্মদ বক্সের লাস কি হইল ?” জমাদার উত্তর করিল-ধৰ্ম্মাবতার ! লাস শূন্তে শূন্যে যে কোথায় লইয়া গেল, তাহার কোন সন্ধানই করিতে পাবি নাই। নিজের প্রাণ লষ্টয়াই পালাইয়াছি। লাসের শেষ অবস্থা কিছুই জানিতে পারি নাই । মাজিষ্ট্রেট সাহেব একটু চিস্ত কবিয়া কুঠিব হেফাজতে জমাদার বরকন্দাজ প্রভৃতিকে মতাইন বাখিয়া, তখনি জিলায় যাইতে প্রস্তুত হইলেন। ন—তখনই চলিয়া গেলেন। ত্রয়োদশ তরঙ্গ হাত বাক্স যাহার জন্য চিস্তা—দিনরাত চিন্তা, কত কৌশল, কত পরিশ্রম করিয়া ছিলেন, অধিকন্তু আরও শ্রম চেষ্টা করিতে প্রস্তুত ছিলেন, তাহা আর কিছুই করিতে হইল না । নিষ্কণ্টকে, সমুদায় দলিল-দস্তাবেজ সা গোলামর হস্তগত হইল।