পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y e. মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ মাণিক্যাঙ্গুরীয়ক প্রার্থনা করিতেছি। রাজকুমারী এই প্রার্থনা করিবামাত্র যুবরাজের মস্তকে যেন ৰঞ্জ পতিত হইল। তিনি চতুৰ্দ্দিক অন্ধকার দেখিতে লাগিলেন । রাজপুত্রীর প্রার্থিত অঙ্গুরী কোথায় পাইবেন ? তপস্বী-দত্ত অমূল্য অঞ্জুরী আর নিকটে নাই। সুতরাং রাজকন্যার প্রার্থন পূর্ণ করিতে অসমর্থ হইলেন । রাজনন্দন ক্ষণকাল চিস্ত করিয়া নির্দিষ্ট বাসস্থানে উপস্থিত হইলেন । তথায় নির্জনে আক্ষেপ করিয়া বলিতে লাগিলেন—হ। বন্ধে । তুমি কোথায় ? আমি যে বিষম বিপদে পতিত হইয়াছি, তুমি ইহাব কিছুই জানিতে পাবিতেছ না । তোমার বাক্যে অবজ্ঞা করিয়া জীবন থাকিতেই শমনভবন দর্শন করিলাম ! কোথায় রাজকন্যার পাণিগ্রহণ করিয় তাহার সুধাময় প্রণয়স্নধাপানে পিপাসিত চিত্তচকোবকে পরিতৃপ্ত করিব, না কোথায় চিবকালেব নিমিত্ত কাবাগারবাসী হইতে চলিলাম । হা মুতু্য কারাগারে প্রবেশ কবিবার পূর্বে তুমি কেন আমাকে গ্রহণ করিতেছ না ? পৃথিবী । তুমি দ্বিধা হও, আমি তোমার গর্ভে প্রবেশ করি । তাহা হইলে জীবনমৃত্যুকারিণী লজ্জা আমাকে আর যন্ত্রণ দিতে পরিবে না । হায় ! আমি কি নিৰ্ব্বোধ ! লোভ আমার সৰ্ব্বনাশ কবিল । যদি লোভ ন৷ কবিয়া বুদ্ধির অন্তগত হইতাম, তাহা লইলে দুর্দশা আমাব সহচরী হইত না। আমি করন্থ অমূল্য অঙ্গুরীয়ক রাজকুমারীকে কেন প্রদান করিলাম ? কেন আমি অঙ্গুরীয়কের নিকট অঙ্গুরী প্রার্থনা করিলাম না ? তাহ হইলে অদ্য রাজপুত্রীর প্রার্থন পূর্ণ করিতে সক্ষম হইতাম । এখন কি করিব ? নিজ বুদ্ধিদোষে নিজ মস্তকে আপদকে স্থানদান করিলাম। হা পিতঃ ! হা মাতঃ ! তোমরা কোথায় ? হা ! কেন আমি পিতামাতাকে স্মরণ করিতেছি ! নিৰ্ব্বোধ পুত্র যে, পিতামাতার হৃদয়শেল, সে যে নরাধম, সে কখনও তাহাদিগকে স্মরণ করিবার পাত্র নহে । আমি নিৰ্ব্বোধ, আমার তুল্য নরাধম জগতে নাই ! স্বকুমার এইরূপে খেদ করিতেছেন, ইত্যবসরে প্রভাকর যেন তাহার দুঃখেই দুঃখিত হইয়া ক্ৰমে ক্রমে মলিন হইতে লাগিলেন। তাহার সমদুঃখিনী হইয়া অন্ধকারময়ী রজনী উপস্থিত হইল। রজনীকান্ত চন্দ্রম যেন নিজ রমণীকে পরদুঃখে কাতরা দেখিয়া প্রফুল্ল হইলেন। এই সময়ে রাজকন্ত স্ট্রীয় সহচরীদিগকে