পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ડેઝર মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ “আপনি কি পাগল হইয়াছেন ? একা একা এতরাত্রে বাটির বাহির হইতে আপনার কিছুমাত্র ভয় নাই ? আপনার পায় পায় শক্র, সৰ্ব্বদা সাবধান সতর্কে থাকা চাই। রাত-জুপুর সময় এক, কি আশ্চর্য্য !” সা গোলাম বলিলেন—“কি কৰি ষে বোঝা মাথায় করিয়াছি, ভালয় ভালয় নামাইতে পারিলে হয়। কিছুতেই মনের শাস্তি নাই!” দেবীপ্রসাদ বলিলেন—“নৃতন আর কি কথা আছে যে, এতরাত্রে ?” “না থাকিলে কি আসিয়াছি ? এই দেখুন সেই অছিয়তনামার বাক্স । যদি খুলিতে পারি খুলিব না হয় ভাঙ্গিব । অছিয়তনাম দেখিয়া কোথায় কি পরিবর্তন করিতে হইবে, তাহ আজ রাত্রেই আপনাকে বলিতে হইবে।” “এ বাক্স কাহার ? এত মীরসাহেবের বাক্স নয়।” “বলেন কি ? সেই বাক্স । আমি বহু পরিশ্রমে এই বাক্স হাতে পাইয়াছি।” “ত যাইহউক, না খুলিলে আমি কিছুই বলিতে পারি না । এই দেখুন না ইহার নীচে রুইধর। মীরসাহেব এই বাক্সে আছিয়তনাম রাখিয়াছেন, আমার তে কিছুতেই বিশ্বাস হয় না । “এখনি দেখিবেন ! এখনি সন্দেহ দূৰ্ব হইবে । এই দেখুন আমি আপনার সম্মুখেই খুলিতেছি।” এক গোছা চাবি বাহির করিয়া স গোলাম কত চেষ্টা করিলেন, কিছুতেই খুলিতে পারিলেন না। এসকল চাবি অনেকবাব লাগাইয় দেখিয়াছেন। তত্ৰাচ দেবীপ্রসাদের সম্মুখে এক এক করিয়া লাগাইয়া দেখিলেন। একটিও লাগিল না। বাক্সও খুলিল না। শেষে বাক্স ভাঙ্গাই স্তিত্ব হইল । দেবীপ্রসাদ একখানি “দা” আনিয়া দিলেন। স! গোলাম অতি কষ্টে বাক্সটি ভাঙ্গিয়া যাহা দেখিলে, এবং যাহা পাইলেন, তাহাতে আর মুখে কথা সরিল না। মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন। দেবীপ্রসাদ হাসিতে হাসিতে বলিলেন—“সাহেব ! দেখিলেন ! বাক্সে কি আছে ! “কাগজপত্রের নামও নাই। একদলা রুইর মাটি। বোধহয় বহুকালের পুরাতন কোন কাগজপত্র কুইতে থাইয়া একেবারে মাটি করিয়াছে। বাক্সের তলা উণ্টাইয়া মাটির লি ফেলিয়া দিলেন । তলাতেও স্থানে স্থানে ছিত্র, সা গোলামের