পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՋԵ-8 মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ সাহেৰেৱ বুদ্ধিকে শত শত ধিক্কার দিয়া দুঃখের সহিত বলিলেন—দারোগার লাস ছাড়িয় দেওয়া নিতান্তই অন্যায় হইয়াছে। মোকদ্দমাটি মাটি হইয়াছে। যাহহউক কিছুদিনের জন্য প্যারীসুন্দরী মাথা নোয়াইয়া থাকিবেন। কুঠি লুটের মোকদ্দমা এ পর্যন্ত শেষ হয় নাই । তাহার পর আবার এই ঘটন। এ মোকদ্দমার সাক্ষী প্রমাণের তত আবশ্বক হইবে না। স্বয়ং মজিষ্ট্রেট সাক্ষী । প্যারীসুন্দরীকে জবা করিতে আব বেশি চেষ্টা করিতে হইবে না। কোম্পানী বাহাদুরই এখন ৰাদী। দারগা খুন, কম কথা নয় । মোকদ্দমার খোজ খবর রাখা তদন্ত করা, আসামীগণকে ধরিয়া থানাদারের হাওয়াল করাই এখন আমাদের কার্য্য নায়েব, দেওয়ান বাহাকে যাহা বলা আবশুক মনে করিলেন বলিয: “প্রাইভেট রুমে’ গুপ্ত কক্ষে যাইয়া বার দিলেন । মামলা-মোকদ্দমা বিষয়াদি এবং নীল বেশমের অধিক আবাদ সম্বন্ধে নানা প্রকার চিন্তা ও মনে মনে বাদাতুবাদ করিয়া যাহা স্থির করিলেন মনেই রাখিলেন । এসকল চিন্তার পর একটি বিষয়ের আলোচনায প্রবৃত্ত হইলেন। মনে মনে অনেক তর্ক-বিতর্কের পব সাব্যস্ত হইল। মিসেস কেনীকে আপাতত: বিলাত পাঠান কৰ্ত্তবা। মেমসাহেবকে স্থানান্তর কবিলে প্রধান একটি চিস্ত হইতে অবসর হওয়া যাইবে । বিশেষ—অন্ত আর একটি চিস্তারও সুবিধা হইবে । কেনী মনে মনে ‘‘মনের কথা” সুস্থির করিয়া মেমসাহেবের নিকট বলিলেন । “প্যারৗম্বন্দরীর টাকা অনেক, জমিদারীও আমার অপেক্ষ অনেক বেশি, বুদ্ধিও বেশি, সাহসও বেশি। জমিদালেব মেয়ে জমিদাব, তাহার কথাই স্বতন্ত্র । সে যাহা যাহা বলিয়াছে, তাহা করিতে বিশেস চেষ্টা কবিবে। দুবার তিনবার ঠকিলে কি ফেল করিলে, পারিয়া না উঠিলে যে কখনই পরিবে না, একথা আমি কিছুতেই বিশ্বাস করিতে পারি না ।” সেখানে অন্য লোক আব কেহই ছিল না । তয়াচ কেনী, মিসেস কেনীর সহিত অতি মৃদু মুদ্র স্বরে অনেক কথা বলিলেন । মাঝে মাঝে মেমসাহেবের চেহারায় আনন্দ আভা চমকিতে লাগিল মুখেও ফুটিল “হোম”— “হোম” যে কি জিনিস, “হোম” কথাটি যে কত মিষ্টি তাহ! বিলাতী অস্তুর না হইলে আমাদের অন্তভব করার সাধা নাই । আমরা বাঙ্গালী, আমাদের হোমকে আমরা কেবল পদতলেই দলিত করিতে শিখিয়াছি। কি প্রকারে পূজিতে