পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/১৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉brb- মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ দেখিতে দেখিতে হঠাৎ উঠিয়া যান। কিছুক্ষণ শয়নঘরে থাকি আবার অফিসঘরে আইসেন। দশ পোনেব মিনিট অতীত না হইতেই পুনরায় শয়নকক্ষের দিয়ে ছুটিয়া যান। কেন জান ? তিনিই জানেন। কেন তাহার মন এত উতাল তিনিই জানেন । অদৃষ্ট ফিবিতে কতক্ষণ ? প্রভুর অনুগ্রহ পাত্র হইলে, তাহার অদৃষ্ট ফিরিতে কতক্ষণ ? জকি গাড়ী চালাইত, কুলি, মজুরের সঙ্গে হাড়ভাঙ্গ খাটুনি খাটিত । এখন তাহার কপাল ফিরিয়াছে । জকি এখন আর গড ওয়ান নাই, এক ময়নাই জকির সকল দুঃখ ঘুচাইয়াছে। 歌 মিসেস কেনী কুঠিতে থাকিতে জকিকে কেহ কুঠিব হাতায় দেখে নাই সেই গাড়ীর আডডায় । এখন দিন দিন জকির উন্নতি— কপালেব জোরে ক্রমে ক্রমে সাহেবেব ঘবেব কার্য্যে নিযুক্ত হইল। সকলেঙ্গ শুনিল, জানিল এবং দেখিল, সাহেব জকিকে বড়ই ভালবাসেন । সাহেবেব হস্তক বন্ধনশালা, লাগাদ শয়নকক্ষ, সকল স্থানেই জকিব সমান অধিকার ! সোনাউল্লা যে এত বিশ্বাসী খানসাম ও পুবাতন চাকর, সময়ে সময়ে জকি তাহাকেও কটু কথা কহিতে ক্ৰটি করে না। সাহেবের পেয়ারের চাকর বলিয়া সোনাউল্লা কিছুই বলে না। ক্রমে জকিব নাম জাকিয়া গেল। যে জকিকে কুঠির আমীন, তাগাদগীর, পাদ পাইক যা ইচ্ছা নাই বলিয়াছে, এখন বড় বড় আমলা—বড় বড় লোক জকির নামে চমকিয়া উঠেন । যে দেখে, জকির সহিত যাহার দেখা হয়, সেই আদর করে, ভালবাসে -কেমন আছ জিজ্ঞাস } করে~~মায়া দেখায়, মমতা জানায় । সময সময কাৰ্য্য উদ্ধাবেব জম্বা জকিকে কেহ কেহ সেলামীও দেয় । জকি, সাহেবের নিকট বলিতে পারুক বা না পাঞ্চক, সাহেবের অনুগ্রহ ও ভালবাসা সকলেরই বিশ্বাস যে, জকি যাহা বলে, সাহেব তাহাই শুনেন । অল্পদিনের মধ্যে জকির কপাল একেবারে ফিরিয়া গেল। জকি যাহা বলিত প্রায়ই তাহা হইত। জকি বলিল, উহার চাকুরী যাইবে, রাত্র প্রভাত হইতে না হইতে সাহেবের অর্ডার পাশ হইল। নির্দোষী বেচারীর চাকরী গেল। জকি বলিল আজ ঐ আমীন বেটার পিঠের চামড় উঠাইৰ, সূৰ্য্য ডুবিতে না ডুবিতে আমীন মহাশয়ের পিঠে চাবুক পড়িল, চামড়াও উঠিল। দেখিয়া শুনিয়া জকির নামে