পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

~S?>SR মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ বলে সা গোলামকে গ্রাহ কবিতেন না, যে দাত কিচিরমিচির ভয় করিতেন না, তিনি শয্যাগত পীড়িত। উঠিবার শক্তি নাই, বসিবার শক্তি নাই, কথা বলিবার শক্তি নাই, উব কথা কে শুনে । বিশেষ নুতন আমল প’লে, পুরাতনে প্রায়ই লোকের সুণ হয়। কোন দোষ না থাকিলেও, একটু বেশি পরিমাণ আদর পাবার লোভে, সাচ, মিছা, হক, নাহক সাতকথা বলিয়া মন হইতে তফাত করিতে চেষ্ট কবে । এ গুণটা প্রাযন্ত মোপ্ত-খোডা জ্ঞাতি—কুটুম্ব এবং বাড়ির চাকর চাকবাণী ও দাস-দাসীর হইয থাকে। দিন দিন পীডার বৃদ্ধি, কষ্টের একশেষ। রোগির পথ্য, সেবা-শুশ্রষার প্রতি কাচারও দৃষ্টি নাই । কে প্রস্তুত কবে, কে চেষ্টা কবে, কেইবা যত্ন করে, কেইবা কার কথা শুনে ? স গোলাম মাঝে মাঝে দেখিতে আসিতেন, কিন্তু রোগির আপাদমস্তক একধানে চক্ষ পাতিসা দেখিতেন । নাডি-জ্ঞান ছিল কিনা জানি ন। সা গোলাম মনের বাগ্রতায় কোন কোন দিন শ্বশুবের হাত ধরিয়া নাডিব গতি দেখিতেন । টি. আই. কেনীও শুনতে পাইলেন যে, মীরসাহেব অত্যস্ত পীডিত । হতিতে চাপিয, মীবসাহেবকে তখনই দেখিতে আসি লেন । সেদিন মীবসাহেব একট, ভাল। কেনী আসিযা দেখিলেন, স! গোলাম একজন কবিরাজের ঔষধ মীবসাহেবকে খাওয়াইতে জিদ করিতেছে—মীরসাহেব খাইবেন না, কবিরাজের ঔষধ খাইবেন না বলিয়া ঔষধ খাইতে অস্বীকার হইতেছেন। সী গোলাম কত অনুনয় বিনয় করিতেছেন । মীরসাহেবের পীড়া শীঘ্র শীঘ্র আরাম হওয়ার জন্য সা গোলাম বডই ব্যস্ত । টি. আই. কেনী চিকিৎসা শাস্ত্র ভালই জানিতেন । নানা প্রকারের ঔষধ তাহার কুঠিতে থাকিত। কোন পীড়িত ব্যক্তি ঔষধ চাহিলে বিনামূল্যে দান করিতেন। কেনী মীরসাহেবের হাব ভাব, চক্ষু দেখিয়া কি পীড়া, তাহা নির্ণয় করিতে পারিলেন না । পীড়ার প্রথম অবস্থা এবং এ পর্য্যস্ত কি কি ঘটয়াছে কি প্রকার চিকিৎসা হইতেছে, সমুদয় বৃত্তান্ত মনোযোগের সহিত শুনিলেন। কেনীর মুখেব ভাব দেখিয়া উপস্থিত ব্যক্তিগণ সকলেই বুঝিল যে, মীরসাহেবের পীড়ার ভালরূপ চিকিৎসা হইতেছে না । ইহা ভিন্ন মানুষে আর কি বুঝিবে কেনী অনেকক্ষণ পর্যন্ত সগোলামের দিকে চাহিয়া রছিলেন। কোন কথা বলিলেন না। কিছুক্ষণ পরে মীরসাহেবকে বলিলেন-আপনি কোন চিন্ত৷