পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>8 प्रेौद्ध মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ উাহার হাতবাক্সটি খুজিলাম না কেন ? যদিও বাক্সটি মীরসাহেবের নিকটেই থাকে, চেষ্টা করিলে অবশুই দেখিতে পারিতাম। তাহার মধ্যে কি আছে তন্ন তন্ন করিয়া দেখিতে পারিতাম। এইক্ষণে সে উপায় আর নাই। ক্রমেই সুস্থ হইতেছেন। হাতবাক্সের কাছে যায় কে ? একটি কথা—সামান্য হাতবাক্স মধ্যে যে ঐ মহামূল্য দলিল রাখিয়াছেন, তাহাই বা কি করিয়া বিশ্বাস করি। অছিয়তনামার চিন্তাই—সা গোলামের প্রধান চিন্তা । মীরসাহেব দিন দিন স্বস্ত হইতে লাগিলেন । চাকরেরাও কিছু কিছু কবিয়া নিকটে আসিতে আরম্ভ করিল। দেখিতে দেখিতে সপ্তাহ-মধ্যে একেবারে নিরোগ হইয়া কাৰ্য্যক্ষম হইলেন। কেনী প্রতিদিন মীবসাহেবের খবর লইতেন। ক্রমেই ভালকথা, ভাল-খবর, একেবারে নিরোগ হইয়াছেন শুনিয়া একদিন মীরসাহেবের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিলেন। মীরসাহেবকে দেখিয়া বলিলেন, আপনি প্রতিদিন খুব ঠাণ্ডা জলে স্বান করিবেন, ঠাগু জিনিস খাইবেন । কেনী পীড়া সম্বন্ধে কথাবাৰ্ত্ত কহিয়া শেষে সা গোলামের কথা তুলিলেন । মীরসাহেব বলিলেন, “দুল মিয়।" আজ বাটিতে নাই, চাপডর বিলে পাখি শিকার করিতে গিয়াছেন । কেনী বলিলেন আপনার জামাতা বড় চতুর। বুদ্ধিও খুব পেঁচাও । যে মাল্লষের সর্বদাই দ্ৰু কুঞ্চিত থাকে তাহার মন সরল নহে । মীরসাহেব বলিলেন, বুদ্ধি যে খুব পেচাও, তাহা জানিয়াই বিষয়াদির কাজকৰ্ম্ম সমুদায় তাহার হাতে দিয়াছি। বিষয়াদির চিন্তায় আর আমাকে এখন চিন্তিত হইতে হয় না। কার্য্য তিনিই করিয়া থাকেন । আমাকে আর কিছুই দেখিতে হয় না । খুব চতুর ছেলে । বেশ মুখে আছে। কেনী একটু হাসিয়া বলিলেন । জামাই পরের ছেলে । মীরসাহেব বলিলেন, না না, সে পরের ছেলের মত পর নহে । আমাকে বিশেষ ভক্তি করে, পিতার ন্যায় পূজা করে, মান্য করে। আমার পীড়ার সময় নিজে কবিরাজের বাড়ি পর্য্যন্ত গিয়া কবিরাজ আনিয়াছিল। ঔষধ খাওয়াইতেও কত যত্ন করিয়াছিল। কত অকুনয়-বিনয় করিয়াছিল। কবিরাজের ঔষধে আমার ভক্তি নাই বলিয়া খাই নাই । তত্ৰাচ সা গোলাম কবিরাজকে টাকা দিতে কম করে নাই। :