পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

პაპაჯ) মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ করিয়া মনের কথা বলিতেছি, কিন্তু আমাদের মনের নিগূঢ়তত্ত্ব—গুপ্তকথা কখনই পাইবেন না । আপনি দেখিবেন, কালে প্যারাসুন্দরীর যথাসৰ্ব্বস্ব যাইবে । খুচিহস্তে দ্বারে-দ্বারে ভিক্ষা করিতে হইবে । এ ঘটনা শীঘ্ৰ ঘটিতেছে না। কারণ এখনও টাকার অভাব হয় নাই । ঘটিতে বিলম্ব আছে। কুঠি লুটের মোকদ্দমায় হাজিরা আসামীগণ সাতটি বৎসরেব জন্য জেলে গিয়াছে। দারোগা খুনের মোকদ্দমায় স্বয়ং কোম্পানী বাদী । শীঘ্রই দেখিবেন সুন্দরপুরের জমিদারী খাস হইয়া কোম্পানীর হস্তগত হইয়াছে আর অধিক কি বলিব । “আমিও একবার সৌলি যাইতে ইচ্ছা করিযাছি । আপনার এই গোলযোগে সেবাবে যাইতে পারি নাই । তাহাবপবই জর,—জর নয় বিষম জব, প্রাণ নিয়ে টানাটানি । “আরও কয়েকদিন বিলম্বে যাইবেন । শরীরটা ভালকবে শুধরে যাক, তার পর যাইবেন । আর একটি কথা—বিরক্ত হইবেন না। খাওযা দাওয়া সম্বন্ধে একটু সাবধান-সতর্কে দেখিয়া শুনিয়া খাইবেন। এ পর্য্যস্ত বলিয়াই কেনী উঠিলেন । মীরসাহেব কেনীর সঙ্গে সঙ্গে দালানেব সিড়ি পর্য্যস্ত আসিলেন । কেনী সেকহা গু করিয়া অশ্বে চাপিলেন । সইস, ববকন্দাজ প্রভৃতি কেনীর-সঙ্গের লোকজন মীরসাহেবকে ভক্তির সহিত সেলাম করিয়া সাহেবের পশ্চাৎ পশ্চাৎ দৌডিল । সপ্তদশ তরঙ্গ অনন্ত-আকাশে ময়না পাখি আশাই জীবনের আশ্রয়, আশাই সংসারের মূল—আশাই মানব-হৃদয়ের একমাত্র ভরস। ভাবিতে গেলে—আশাতেই সংসার ৷ কে না জানে মরিতে হইবে । তথাচ মরিতে অনিচ্ছা কেন ? মরিবার নামে হৃদয় কাপিয়া উঠে কেন ? আজ যদি কেহ বলে যে, কাল তোমাকে মরিতে হইবে—আর তাহা যদি নিশ্চয় হয়, তবে কাল কেন ? যখন মৃত্যুর কথা কানে প্রবেশ করে, তখনই যেন মরিয়াছি বলিয়াই বোধহয় । মরণে ভয় করিয়াও আশার কুহকে পড়িয়া মরণ কথাটি একেবারে ভুলিয়া গিয়াছি। মনে করিয়াছি, জগৎ চিরস্থায়ী,-আমিও চিরস্থায়ী। এত ভ্রম হইবার কারণ কি? আর কিছুই নাই, কেবল একমাত্র