পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ "שכל না হয় তোমাকে বড়লোক দিয়াছে। এ ধুতি-চাদব কালীগঙ্গায় ফেলিয়া দেও। নয় পোড়াইয়া ফেল। আর ঘরে রাখিও না । আমার কথা শুন ।* জকি বডই দুঃখিত হইল। মনে করিয়াছিল, ময়ন তাহার কাধ্যে যোগ দিবে-কত প্রশংসা করিবে । ধুতি-চাদর দেখিয়াই এইকথা—পাঁচশত টাকার কথা শুনিলে তো আজই আগুন জালাইয়া দিয়া ছারখার করিয়া দিবে। টাকার কথা না বলিয়াই ভাল করিয়াছি। জকি মনে মনে এইকথা কহিয়া ময়নার সম্মুখ হইতে ধুতি-চাদর উঠাইয়া লইয়া গেল। একট কু পবে আসিয়া বলিল যে, আর সুন্দরপুর যাইব না । “কুট স্ব-স্বজনের বাড়ি যাওয়াআসায় দোষ কি ? তবে ঘন ঘন যাওয়াট। ভাল দেখায না—আদরও থাকে না । মুখে কিছু না বলুক, মনে মনে বড়ই বিরক্ত হয়। . আমি যাইতে বারণ করি না, মাসেক-ছমাস পরে কুটম্ববাড়ি যাওয়াই ভাল।” t “ন। আমি সে বাডিতেই আর যাইব না। সুন্দরপুর গ্রামেই আর যাইব না। সেখানে আমার কোনই কাজ নাই ।” ময়না কাতরস্বরে বলিতে লাগিল । “দেখ আমার পেটের বেদনা আজ বড়ই বেশী হইয়াছে। সাহেবের নিকট হইতে যদি একট, ঔষধ চাহিয়া আনিয়া দিতে তাহা হইলে বাচিতাম, কত লোককে তিনি ঔষধ দেন । তুমি চাহিলেক্ট ঔষধ দেবেন।” - জকি সুন্দরপুর ন যাইয়া কুঠিতে চলিযা গেল। ময়না মাটিতে বসিয়া মাথায় হাত দিয়া ভাবিতে লাগিল । ভাবনা কি ? স্বামীর সহিত সময় সময় দেখা হয়, কিন্তু বিবাদ-বিসম্বাদ, বিচ্ছেদ, মিলন কিছুই নাই । স্বপত্নী আছে, তাহার সস্থিতও মনবান্ধ নাই । ময়নাই ইচ্ছা করিয়৷ স্বামীকে বিবাহ দিয়াছে। স্বপত্নী-ঘরে জানিয়াছে। একদিনের জন্তও স্বপত্নী সহিত বাদ-বিবাদ হয় নাই। অন্ন-বরে ময়দার কোন বিষয়ে কষ্ট নাই। তাহার আচরণে, কথাবাৰ্ত্তায় প্রতিবেশি-গ্রামস্থ লোক সকলে একমুখে ভাল বলে। এবং ভালবাসে। প্রতিবেশিনীর মধ্যে একজন বয়োধিক স্ত্রীর সহিত ময়নার বিশেষ আলাপ ছিল। সে সৰ্ব্বদাই ময়নার নিকট কথাবার্তা কম্বিত, হাসি-তামাসাও করিত। ময়নার পড়ার কথা শুনিয়া দেখিতে জিসিয়া বলিঙ্গ