পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ ૭ 8 মার মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ হইলেই যেন সে চিরকালের জন্য বাধ! পড়িল । সৰ্ব্বদা প্রস্তুত, সৰ্ব্বদা ষোড়হাত ৮ মার কাট কথাটি মুখে নাই। যত ইচ্ছা মাথায় বোঝা চাপাও- আহা কি উহু শব্দটি মুখে নাই। যথাসর্বস্ব কাড়িয়া লও কিছুই বলিবে না। যেমন অবোধ তেমনই সরল। আর কত বলিব । যাহা ইচ্ছা তাহ কর, সৌভাগ্য-জ্ঞানে সহ করিবে, কত সাহেব শিকার করিতে যাইয়া, মানুষ শিকাব কবিয়া বসেন, কিছুই হয় না। ক্রোধবসে এড়ির গুতোয় পিলে ফাটাইয়া দেন, টু’ শব্দটি মুখে আনে না । টাকা লইতে ইচ্ছা হইল, হুকুম জাবি করিয়া দাও অমনি আদায় । আমাদের প্রতি এমনি বিশ্বাস যে, রূপ। বলিল দস্ত হাতে দেও, মাথায় করিয়া লইয়া যাইবে। এমনই ভক্তি যে আরাধ্য দেবতাকে ভুলিয়। আমাদিগকেই কায়মনে পূজা করে, মনের সহিত সেবা করে । তাহারা পরিশ্রম করিয়া যাহা কিছু উপার্জন করে, এ দেশের ছাইভস্ম জিনিস দেখিযা—ভুলিযা সকলই আমাদিগকে দেয়। এই আমি যে খণ্ডে বাস কবি, সমুদায় ক্ষমতা আমার হস্তে—আমি ইচ্ছা করিলে কি না করিতে পারি। পরিশ্রম তাহদের, ভোগ আমাদের । এমনই সরল, এমনই সাধু যে, সর্বস্ব দিয়াও আমাদের খাতিব রাখে, মন যোগায় । হায ! হায় । অমন সোনার দেশ কি আছে ? আমার এত কষ্ট হইতেছে যে, একমুখে তাহা প্রকাশ করিবার সাধ্য নাই। খাওয়া দাওয়াব সুখই বা কত ! দান-দাতব্যের ঘটাই বা কত ! আদর-অভ্যর্থনার ধুমঠ বা কত ! সকলেরই বাডি, ঘর, দোর আছে, খাইবার সংস্থা আছে। সাতপুরুষ দূরে থাকুক এক জীবনের মধ্যে ষাট দিনও কেহ গাছতলায় বাস করে না। ভাড়া দিয়াও পবের ঘরে নিদ্রা যায় না। যেমনই হোক থাকিবার, শুইবার ঘর সকলেরই আছে । ছল, চাতুরী, জুয়াচুরি জানে না । মিথ্যাভান করিয়া কাহাবও সম্পত্তি হরণের কেহ চেষ্টা করে না । তবে যাহারা পাওনাদার, তাহারাই দাবী করে, মামলা-মকদ্দমাও হয় । সে বিচারও আমবাই করিয়া থাকি। বিচার-দরুন নজর সেলামী টাকা লই । তাহাদেরই দেশ, তাহাদেরই টাকা, তাহাদেরই সম্পত্তি—মজা করি আমরা। এমন সুখ কি আর কোথাও আছে ? আহা সে দেশের স্ত্রীলোকদিগের কষ্ট দেখিয়া মনে বড়ই বাথা লাগে ৮ তাহারা যেন বন্দিনী । চিরবন্দনী ! ঘাটে-মাঠে বাহির হয় না। সৰ্ব্বদা মাথা, মুখ ঢাকিয়া থাকে। অপব কাহারও সঙ্গে কথাবার্তা কহা দূরে থাক, হঠাৎ নজর