পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীর মশারফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ وكe چ নাথ ! আমি কখনই শালঘর মধুয়া পরিত্যাগ করিতাম না। ক্ষণকালের জন্যও ছাড়িয়া আসিতাম না। খুব শিক্ষা হইল। আর না কখনই আর এরূপ হইবে না। আমি শীঘ্রই পৌছিতেছি। এই সপ্তাহেই জাহাজে উঠিব। অদ্যই টিকিট খরিদ করিব। উনবিংশ তরঙ্গ প্যারীসুন্দরীর পরিণাম কুঠি লুটের মোকদ্দমায়, হাজারী আসামীগণের ফাটক হইয়াছে। দারোগী খুনের মোকদ্দমায় আসামী হাজির হয় নাই—গ্রেপ্তারও হয় নাই। কিছুই সন্ধান হইতেছে না। সরকার বাহাদুর পারাসুন্দরীর সমুদায় জমিদারী ক্রোক করিয়া আছি-সরবরাহকার নিযুক্ত করিয়াছেন । বরিশালের নিকট সায়েস্তাবাদ নিবাসী সৈয়দ আবি আবদুল্য অছি-সরবরাহকার নিযুক্ত হইয়া আসিয়া সমুদায় জমিদারী সরকার বাহাদুরের পক্ষ হইতে ক্রোক করিয়া কাৰ্য্য চালাইতেছেন । প্যারীসুন্দবী সদর দেওয়ানীতে আপীল কবিয়াছেন । বহু তদবিব, বহু যত্ব, বহু পরিশ্রম ও বহু অর্থব্যয়ে জমিদারী খালাস করিলেন । নিরপরাধী কয়েকজন আমলা এবং বাজে চাকর, বিনা অপরাধে সাক্ষীর দোযে, দোষী সাব্যস্ত—যাবজ্জীবন দ্বীপান্তরিত হইল। অমুদায়ে চাকুরীতে মজিয়া, একেবারে প্রাণেই সারা পাইল । বামলোচন খালাশ পাইলেন। “আহম্মদ” মনিবের আদেশে বিশেষ কর্তব্য-কাৰ্য্য করিতে গিয়া বেঘোরে প্রাণ হারাইল । কাগুর মাতার চির-কান্না সার হইল। বাসীর স্ত্রী বাপের বাড়ি চলিয়া গেল। প্যারীসুন্দরী জমিদারীর কতক অংশ পত্তনী ইত্যাদি বন্দোবস্ত করিয়া দিয়া ঋণদায় হইতে মুক্তি হইলেন। আয়ের শ্রেষ্ঠ অংশই প্রায় কমিয়া গেল। পাঠক ! প্যারীসুন্দরীর প্রসঙ্গ সাক্ষ হইয় অন্য কথা আরম্ভ হইল । বিংশ তরঙ্গ মীরসাহেবের নৌকাষাত্রা পূৰ্ব্বৰ অনুসারে মীরসাহেব এক্ষণে সিরাজগঞ্জের অধীন সৌলিগ্রামে তীর বাটিতে বাইতে প্রস্বত হইয়াছেন। নিকটেই গৌরনদী হইয়া ধুমাকলের