পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা ૨૪ જ চতুবিংশ তরঙ্গ বিষ জকি স্ত্রীকে বাপেরবাড়ি পাঠাইয়া কুঠিতে হাজিরা দিতে আসিয়াছে। সেদিন নাই, সে-কাল নাই, সে অাদর নাই, জকির সে খাতির নাই। জকির নামে কাহাব ভয়ও নাই। প্রতিদিন হাজির দিতে হয়। নিয়মিত সমন্ন উপস্থিত নী হইলে, মেমসাহেবের বকুনি খাইতে হয। কিন্তু মেমসাহেবের কামরা ব্যতীত জকির সকলস্থানেই যাওয়াব অধিকার আছে। সেটা এখনও বারণ হয় নাই । অন্তকক্ষে সাহেব-মেম উভয়ে ব্রাণ্ডিপানীর স্বাদ লইতেছেন । মিসেস কেনী পূৰ্ব্বে ব্রাণ্ডিব নাম শুনিতে পারিতেন না—এবাবে বিলাত হইতে আসিয়া খুব চালাইতেছেন । সকল সময় হাসি-খুশী-বাজনায় গানে সময় কাটাইতেছেন । জকি মেমসাহেবেব নিকট হাজিরা দিয়া সেলাম ৰাজাইয়া বিদায় হইল । কিন্তু বাড়িতে আসিল না। একবার নীচে একবার উপবে, একবার বাবুরচিখানায়, একবার সাহেবেব লিখিবার ঘরে, এইরূপে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল। জকি যেন মনে মনে কি খুজিয়া বেড়াইতেছে । কোন জিনিস খুজিবার ভাৰ নহে। সময় খুজিতেছে । সুযোগেব সন্ধান করিতেছে । খানসাম, সর্দাব বেহাব সকলেই আপন আপন নিদিষ্টস্থানে বসিয়া নানাপ্রকারেব গল্প ফাদিয়া বসিয়াছে। জকি পুনরায় উপরে আসিল । খানার মেজ সাজান । সাহেব-মেম অন্য কামবায । খুব হাসি-তামাসার রগড় চলিতেছে । জকি ক্রমে ক্রমে খানাব কামরায় উপস্থিত । চাবদিকে তাকাইয়া অগ্রসর, আবার তাকাইয়া আরও অগ্রসর—চারদিক দেখিয দাড়াইল । কোমরের খুট হইতে একটা কৌটা বাহির করিল। কৌটার পরিচয় আর বিশেষ করিয়া কি দিব। সেই কৌটী ভায়ের-দত্ত কৌটা। কৌট হইতে কি যেন উঠাইয়া চা-দানির মধ্যে ফেলিয়া দিল। চা-দানির সরপোষ দিয়া পূৰ্ব্বমন্ত ঢাকিতেই ভয়ে হাত কঁাপিয়া উঠিল। সরপোষের প্রতিঘাতে একটু শব্ধ হইল। ঠিকভাবে পূৰ্ব্বমত সরপোষ বসিল না। ভাল করিয়া পূৰ্ব্বমত ঢাকিতেও আর সাহস হইল না । তাড়াতাড়ি অন্য দরজা দিয়া নীচে নামিয়া গেল। সোনাউল্লা, সর্দার বেহারার খোশ-গলপে মন মাতাইয়া বসিয়াছিল। খানারকামরা মধ্যে হঠাৎ একটি শব্দ হইয়া তাহার কানে গিয়াছিল! কিন্তু উঠিয়া আসিয়া দেখা, কি, কি কারণে শব তাহার কারণ অঙ্গুসন্ধান করা তত