পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা 及之命 খাজ খাঁ দেখিতে ঘোর রুষ্ণবর্ণ, মাথায় সাদা পাগড়ি, দাড়িগুলিও সম্পূর্ণ সাদ–পাগড়ি, দাড়ি আর দন্ত এই তিনটি সাদা জিনিসেই সকলের দৃষ্টি পড়িতেছে । তানপুরার আডাল, ঘোর কৃষ্ণবর্ণের চেহারায় খাজার সাদ! জিনিস কয়েকটি ভিন্ন আর কিছুই দেখা যাইতেছে না । খাজা থা মাথা নাডিয! নাডিয়া অনেকক্ষণ পর্য্যন্ত গান করিলেন । দুশ বাহাব পড়িতে লাগিল । খাজা থfও সেলাম বাজক্টিতে বাজাইতে অস্থির হইয়া পডিলেন । কাল ওয়াতজিব গান শেষ হইলে মাধব রায় পুনবায় গান ধরিলেন । রায়জি মাথা মুখ হাত নাডিয়া গলাবাজী কবিতে ক্রটি কবিলেন না । খাজা থা পর্যাস্ত রযেজিকে বাহরাব বাতাসে খুব দোলাইয়া দিলেন । বাঙ্গালীব মুখে বাঙ্গালাদেশে এক্ট প্রথম লনলয় পরিশুদ্ধ গান আজ শ্রবণ কবিলেন । রায়জির আননের সীমা নাই। মজলিস ভাঙ্গিয়া গেল। তানপুবা খোলে পুরিয়া কালওযাতজি বিশ-পচিশবাব সেলাম বাজাইয়া বাসায় চলিয়া গেলেন । সঙ্গে সঙ্গে মজলিসের অধিকাংশ লোক বাহিবে আসিল । কার্য্যকাবক মহাশয় বসিয়াই বহিলেন । তিনি আর উঠিলেন না। ভৈরববাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, কোন কথা আছে নাকি ? কার্য্যকারক মহাশয বলিলেন—হুজুব । কেনৗব কথা তো ক্রমেই বেশি বেশি শুনিতেছি । পথে পথে লোক রাখিয়াছে । গোয়েন্দা রাখিয়াছে। শুনিতেছি লাটেব খাজান যশোহরে লইয। যাইতেই সুযোগ ও সুবিধামত—দিনে হউক বাত্রে হউক, যে উপায়ে হউক লুটিয়া লইবে । সৰ্ব্বদা সন্ধানী লোক ঘুরিতেছে। কে কোন বেশে, কোন স্থযোগে যে আমাদেব কাজকর্শ্বেব সন্ধান লইতেছে তাহার কোন সন্ধান পাইতেছি না । অথচ আমরা এখানে যেদিন যে কাৰ্য্য করিতেছি, তাহার খবব প্রতি মুহূর্তে সাহেবের নিকট যাইতেছে। আশ্চৰ্য্য ! এমন লোক কে আমাদের এখানে আস! যাওয়া করে যে, তার কল্যাণে এখানকার কোন কথাই আর গোপন থাকে না—যে পরামর্শ, যে গুপ্ত-মন্ত্রণ করা হয়, অমনই প্রকাশ হইয়া পড়ে। এখন উপায় কি ? লাটের দিন অতি নিকট, কোন পথে, কি উপায়ে টাকা পাঠাইব তাহার কোন উপায় করিতে পারিতেছি না। অন্য কিছু নয়, খাজানার টাক। দেখুন কি আশ্চৰ্য্য কথা ! যে পথে টাকা পাঠান সাব্যস্ত করি, অমনি সংবাদ আসিয়া পড়ে যে, সন্ধানীরা সে পথেও খুরাফিরা করিতেছে। সন্ধি > &