পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ રાઝ মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ ঘুরিয়া বেড়াই । তোমরা বাবা বড়লোকের চাকর, তোমাদের সুঙ্গে যাওয়! আমাব সাধা নাই । আমি যে কতদিনে যাইব তাহারও ঠিক নাই । ভগবান যে পথে লঠযা যাইবেন সেই পথেই যাইব । রাম সিং বলিল—“আচ্ছা ঠাকুব ! আজিকার দিনতে একত্রে যাই ।” নানাকথায় এবং কথার উত্তব-প্রত্যুত্তব, অপব কথা, উড়তি কথা, বাজে আলাপ করিতে কবিতে সকলেই যাইতে লাগিল । সকলেই একদম খুব ইঁটিলেন । হঁটিতে ইাটিতে বৌদ্রের উত্তাপে গলদঘৰ্ম্ম হইযা বাস্তার পাশেব একটি বটগাছ তলায় BBBBB BBBBS BB BBBBB S BBBB BB BBBBS BBBB BBB খাইতে লাগিল । কেহ কেহ অবিশ্বকীয কার্য্য করিতে গেল । বাম সিং প্রভৃতি নেগাহবান মাটিতে বসিয। কাধেব ঝোলান বাটুয়া বাহিব করিয়া খর্সান তামাকে চুণ মিশাইমা হাতের তালুতে আঙ্গুলি-দ্বীব। টিপিতে লাগিল । কেহ গাজীব ভাট বাহিব কবিয কাটাছেড়ায় মন দিল, বৈবাগী ভিক্ষার ঝুলি নামাইয়া ‘গেীব-নিতাই হবি বোল’ শব্দে শ্রান্তি দূর্ব কবিল। রাম সিং বলিল—“বাবাজি ত্বরিতানন্দ সেবা হবে কি ?” বৈবাগী বলিল “না বাবা ! আমি ও সকল অনন্দে আনন্দিত নই। পেটের ভাত জোটাইতে পারি না, তার উপব আবাব আনন্দ কববো ।” “আচ্ছা বাব ! আনন্দ নাই কললে, একটি গান কর শুনি । বেশ ছায়ায় বসিয়াছি। বড় জোরে এই তিনক্রোশ পথ হাটিয়া আসিয়াছি, বড়ই মেহনত হইয়াছে। বাবাজি ! একটি গান গাও শুনে মনটা স্থির কবি ।” বাম সিং প্রভৃতি খুব দম কষিয়া ত্বরিতানন্দের সেবা করিল। চক্ষু লাল হইয়া উঠিল। দুই একবাব কলিকা ফেরী-ঘোরার পরেই পুনরায় রাম সিং বৈরাগীকে গান করিবার অনুমতি করিলে, বৈরাগী ঝোলা হইতে খনজনী বাহির করিয়া চাটি দিয়া গান আরম্ভ করিলেন। রাম সিং না বলিলেও বৈরাগী বাধ্য হইয়া গান ধরিত । সুযোগ পাইতে ছিল না বলিয়া ক্ষান্ত ছিল । বৈরাগী খুব বডমুরে গাইতে লাগিল— “ওবে কললি কি বিশাখা, একবার এনে দেখা, মলেম মলেম প্রাণে না হেরিয়া বঁাকা । -