পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা Հ\3չ শুাম বিষয় সংকীর্তনে বেশ ক্ষমতা আছে। যদি সত্য হয় তবে শুধু শুধু বসিয়া রাত্রি জাগরণ অপেক্ষা আমোদে থাক! মন্দ কথা নয়। ঈশ্বরের নামও হইবে, পাহারার কার্য্যও চলিবে । বৈরাগী বলিলেন—“বাবাজি ! কথাটা ভালই শুনালেন কিন্তু, বলি কি রাত্রি জাগরণটা বড় ভয়ানক কথা। আর এই সকল সিপাহ-বাবাজিরা সারাদিন হঁাটিয়া যে পবিশ্রম করিয়া আসিয়াছে এখন কি আর জাগরণেব সময় ? যেই বিছানায় পডিবে অমনি ঘুমাইবে।” - নায়েব মহাশয় বালিশে ঠেস দিয়৷ তাম কি টানিতেছেন আর বাবাজিব সহিত আলাপ করিতেছেন । নাযেব মহাশয়ের সত্বরোধ বাবাজি ঠেলিতে পারিলেন না। খনজনী বাহিব করিয়া আরম্ভ কবিলেন। খনজনীর চাটায় শব্দ অনেকদূর যাইয় ফকিবের কণে প্রবেশ করিয়াছিল। রাত্রের শক দিন অপেক্ষ বহুদূরে যাইতে লাগিল। বৈরাগী অনেকক্ষণ খনজনী বাজা ইয়া গান আবম্ভ করিল। গান “আয় ম| সাধন-সমরে । দেখবো মা হাবে, কি পুত্র হারে । অশ্বারোহণ করিয়ে কালীসাধন রথে, তপ-জপ দুটো অশ্বযুতে তাতে, দিযে জ্ঞান ধনুকে টান, ভক্তি ব্ৰহ্মবাণ বসেছি ধ’রে । মা দেখ বো তোমার ব৭ে, শঙ্কা কি মরণে, ডঙ্কা মেরে লব মুক্তিধন— তাতে রসনা ঝঙ্কাবে, কালী নাম হুঙ্কারে, কার সাধ্য আমার বলে রণ ॥ বাবে বারে বল তুমি দৈত্যজয়ী, এই আমার বাণ, এস ব্রহ্মময়ী, ভক্ত রসিকচন্দ্র বলে, মা তোমারই বলে, জিনবো তোমারে ।” গানটি শেষ হইলেই বাবাজি তামাক ইচ্ছা করিয়া নায়েব মহাশয়ের হস্তে কলিকা দিলেন । রাম সিং প্রভৃতির। শরীরের বেদন তাড়াইতে কষে গাজায় দম দিয়া জাগিতে জাগিতে ঘোর-নিদ্রায় নাক ডাকাইয়া পাহারা দিতে লাগিল । সর্দারেরা লাঠিখানি বগলে করিয়া “একটু কাৎ হই’ বলিয়া নিদ্রায় অভিভূত