পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫె\రిని মীর মশার্বফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ হইল । জাগরণের মধ্যে কেবল নায়েব মহাশয় আর বৈরাগী বাবাজি । বৈরাগীর মনেও নানা কথা, নায়েব মহাশয়েব মনেও নানা কথা—এবারকার পূজাব খবচট! উপরি-টীকায কবিবেন মনে করেছিলেন । প্রজাবা বাদী হওযায় তাহাতে কুতকার্য্য হইতে পারেন নাই । বিবাদী প্রজাগণকে কি কি কৌশলে জব্দ করিবেন সেও এক প্রধান চিন্তা । সে জমাখবচটা কাছাবিতে দাখিল কবিযাছেন তাহার সমুদায় খবচ মজুরী পাইবেন কিনা, সে ও এক প্রধান চিন্তা । তাব নেয্য খরচ একভাগ, আর তিনভাগই মিথ্যা। অনেক ফর্দে ঠিক নমাইতে বেঠিক করিয়াছেন । কোন স্থানে শুন্য বেশী কবিয়া দিয়া নামাইযা বাখিয়াছেন । কিছু কিছু বাজেয়াপ্ত হইলেও আসলে মার নাই। সদবের আমলাগণকে ও বীতিমত রূপচাদ সহায়ে সেলাম বাজাইয়া আসিয়াছেন । সময় সময় পাঠা, য়ত ইত্যাদি দিয়াও র্তাহাদের মন যোগাইয়াছেন । বাবুর চক্ষে পড়িলে ধরা পড়িবেন এইটি মহা চিন্ত । তাহারপর কেনীসাহেব যে কাছারি লুট কবিয়া খাজনা লুটিয়ে লইয। যাইবে সে চিস্তাটাই বেশী চিন্তা । লুটিবে কথায় চিন্তিত হন নাই । লুটিলেও ভাল না লুটিলেও ভাল। যদি লুটই হয়, তবে লুটের বাহানায় কিছু কিছু সবাইয়া আত্মসাৎ করিবেন। কোন কোন জিনিস এবং নগদ তহবিলেব সমুদায় সরাইবেন কি কিছু রাখিবেন ও কাগজপত্রগুলো একেবারে পোডাইয়! ফেলিবেন কি জলে ডুবাইবেন, তাহাও স্থির কবিতে পারেন নাই । লুট হইলেই ভাল। আরও কিছু লাভ না হয়, মোকদ্দম খরচে বেশ একহাত মারিতে পাবিবেন । পুনরায় বৈরাগী বাবাজিকে বলিলেন বাবাজি । গানটি বড চমৎকার । আর একবার গানটি হক । গানটি বড় মিষ্টি । যত রাত শেষ হইতেছে ততই বৈরাগীব চিস্তা বাডিতেছে । সহযোগীফটিক (ফকির) কুঠিতে গিয়া টাকা রওয়ানা সংবাদ সময়মত সাহেবকে দিতে পারিয়াছে কি না ? এ কথাও তাহার চিন্তার এককথা । পুনর্বাব খনজনীতে ঘ দিয়া “আয় মা সাধন সমরে” বলিযা প্রথম ধুয়া ধরিতেই ‘হো হো’ শব্দে লাঠিয়ালের মশাল জালিয়া ডাক ভাঙ্গিতে ভাঙ্গিতে কাছারিঘরে আসিয়াই নায়েব মহাশয়কে চক্ষের পলকে সাধিয়া ফেলিল । বৈরাগী বাবাজি সঙ্কেতে দেখাইয় দিল যে ঐ সিন্মুক। সঙ্কেত করিব। মাত্র কুঠারাঘাতে সিন্মুক খ গু খ গু করিয়া ফেলিল। সিন্মুকম্ব টাকার তোড়া