পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা ミ○○ মোকদমা, লাঠিবাজী, আর একটিতেও হুজুরকে কেহ পরাস্ত করিতে পরিবে না। বাবুর কাছারিতে চোদ্দ তোড পাওয়া গিয়াছে । আমাদের লাঠিযাল সর্দারের নিকট বাবুর লোকজন মাথা তুলিয়া একটি কথা বলিতেও সাহসী হইল না । কে কোথায় পালাহল তাহাব খোঁজ খবর পাওয়া গেল না । ফকিরেব কথা শেষ হইতে না হইতে লাঠিযালগণ শোবগোল কবিতে করিতে পায়তাবা করিয়া লাঠি ভজিতে ভজিতে চৌদ্ধ তোড়া টাকাসহ সেলাম বাজাইয়া বকশিশের প্রার্থনায় সাহেবের সম্মুখে কালাব বান্ধিয দাডাইল । সাহেব পাঁচশত টাকা বকশিশের হুকুম দিলেন । আরও বলিলেন “দেখ ভৈবববাবু বড় চতুব। ও সকল তোড়াগুলি এখনি জালাইযা ফেলিতে হইবে । টাকা অামাব সম্মুখে ঢালিয়া তোড়াgBB BBBB BB S BB BBS BBBBBBB BBB SBBB S BBBB মাত্র তখনি বামইমাদ পাডে গাযেব বড চাদব মাটিতে বিছাইয়া টাকার তোড একে একে নামাইয়া মুখ খুলিতে লাগিল। সহজে খুলিতে পারিল না। বড়ই কৌশলে বাধা এবং লাবাত দিয়া মুখ আঁটা । তোডার মুখের দড়ি কাটিয়৷ সাহেবেব সম্মুখে ঢালিল । সাহেব দেখিয়া অবাক । তাড়াতাড়ি অন্য একটি তোডার মুখ কাটিয়া খোলা হইল, তাহাতে ও অবাক! ক্রমে চোদটি তোড়ার মুখ খুলিয়া টাকা ঢালা হইল । কাহাবও মুখে কথা নাই । চতুরের চাতুরী— আশ্চৰ্য্য বাটপাডি। একটি তোডাতেও টাকা নাই । সমুদায় খাপরা । —আর একদল কবিয়া সীস । ভৈরববাবুব চাতুরীতে কেনীর মাথা ঘুরিয়া গেল। পরস্পর মুখ চাওযা-চায়ি ভিন্ন মুখে কাহার ও কোন কথা নাই । লাঠিয়ালদিগের উৎসাহ –বকশিশ সকলি খাপরায় পবিণত হইল । কেনী বড়ই অপ্রস্তুত হইয়া বলিলেন—ভৈরববাবু বড় ঠকাইয়াছে । বাঙ্গালীর মাথায় এত বুদ্ধি, ইহা আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবি নাই। সাহেব মাথা হেঁট করিয়া এক দুই পায়ে প্রিয়তমার হাত ধবিয কামবায ঢুকিলেন। যাইবার সময় বলিয়া গেলেন, ছালাগুলি নদীতে ফেলিয়া দেও। রামইয়াদ পাড়ের চাদর পাতাই সার হইল। খাপরা সমেত তোড়া চোদটা কালীগঙ্গায় বিসর্জন কবা হইল । তিন-দিবসেব মধ্যে সাহেব ঘর হইতে বাহির হইলেন না । ভৈরববাবু ছাড়িবার লোক নহেন। ইংরেজ দেখিয়া ভীত হইবার পাত্র নহেন। রীতিমত রাজদ্বারে কাছারি লুটের নালিশ উপস্থিত করিয়া দিলেন।