পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RVLSෂ মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্ৰহ প্রমাণের অভাব হইল না। কাছারি লুট, চোদ তোড টাকা লুট-এ-কথার প্রমাণ সহজেই পাওয়া গেল। কেনীব পক্ষীস কয়েকজন লোকের বিশেষ শাস্তি হইল । কিন্তু ভৈরববাবু তাহাতেও ক্ষান্ত হইলেন না। চোদ হাজার টাকার দাবীতে আদালতে নালিশ উপস্থিত কবিয়া মায়-খরচা-সমুদায় দাবী ডিক্রি কবিলেন। উনত্রিংশ তরঙ্গ বাঙ্গালীর হৃদয় কিছুদিন পবে যশোহবে সদবআলাব এজলাসে ভৈবববাবুর সহিত কেনীর দেখা হয়। যদিও, কেনীও বড়লোক । বিস্তব টাকা । কিন্তু খাপরাব পবিবৰ্ত্তে— চোদ হাজার টাকা নগদ দিতে কাহার না কষ্ট বোধহয় ? কেনৗব ইচ্ছা যে আপোষে নিষ্পত্তি হয়। খরচাট লঠয বাবু দাবিব টাকা ছাডিয়া দেন—এই কেনৗব আস্তরিক ইচ্ছা । কিন্তু কোন মুখে একথা বলিবেন । হাকিমেব সম্মুখে, এজলাসেব মধ্যে কেনী ভৈবববাবুকে দেখিয়া বলিলেন । “তুমি বাবু বড় জুয়াচোব । খপিব দিয়া তোড়া পুবিয়া চোদ হাজার টাকার দাবী করিয়া ডিক্রি করিয়াছ ।” “ভৈরববাবু বলিলেন—“আমি জুমাচোর, তুমি গরুচোব ।” কথা দুইটি পথিকের কল্পনা প্রস্থত নহে । হাকিমেব সম্মুখে ভৈবববাবু ৪ কেনীব কথাপ্রসঙ্গ আজ পর্যন্ত ঐ অঞ্চলে সাধাবণেব মুখে চলিয়। আসিতেছে । ভৈরববাবু কেনীব শুধু গরুচোর বলিয়াই ক্ষান্ত হইলেন না। আবও বলিলেন---“দেখ । তুমি আমাদেক দেশের বাজা ! দেশের লোকে তোমাকে ভযেক্ট হউক, আব ভক্তিতেই হউক, রাজার তুল্য মান্য করে । আমাদেব দেশেব ব্যবসা-বাণিজ্য কবিয কিছু টাকা উপার্জন কবিবে, এইতো তোমার ইচ্ছা ! তাহাতে আমাদেব কোন আপত্তি নাই। কিন্তু তাহা ন কবিয়া তুমি আমাদের সর্বনাশ কবিতে বসিয়াছ । যাহt যাহা করিয়াছ, এদেশেব লোকে তাহা কখনই করিতে পারে না । দয়া, মাযা, ধৰ্ম্ম, এবং হৃদয় হইতে তাহারা বঞ্চিত নহে। তুমি দেশের গরুচুরি করিযী কৃষি-প্রজার সৰ্ব্বনাশ করিয়াছ। তোমার নিকটস্থ জমিদার, তালুকদাবেব যথাসৰ্ব্বস্ব লইয়াও তোমার উদর পরিপূরণ হয় নাই। এখন দূবস্থিত তালুকদার, জমিদারের সর্বস্ব লইয়া নিজের স্বার্থসিদ্ধি করিবে ইহাই তোমার আস্তরিক ইচ্ছা । তুমি এদেশে