পাতা:মীর মশাররফ হোসেন রচনাসংগ্রহ প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উদাসীন পথিকের মনের কথা : ©ዓ আসিয়া কত পাপের কার্য্য কবিয়াছ, একবার ভাবিয়া দেখ দেখি ? কত সতীর সতীত্বনাশ, কত শত প্রজার যথাসৰ্ব্বস্ব হরণ, ঘব জালানী, দিনেরাত্রে ডাকাইতি, নিরপরাধে দুগু, এসকল তোমাব অঙ্গেব ভূষণ। সকল ধৰ্ম্মে যে কাৰ্য্য পাপ বলিয়া নিদিষ্ট রহিয়াছে, তাহাব একটিও তুমি বাকি রাখ নাই। তুমি ইংরেজ জাতিব পাপ-কন্টক । তোমার মত ইংরেজকে শতধিক ! আমি খোলাখাপরায় তোডবিন্দী কবিয়া টাকা বলিয়া পঠাইয়াছিলাম, তাহা স্বীকার করি । তুমি ভাবিয়াছিলে যে বাংলাদেশে লোক নাই, বাঙ্গালার মাঙ্গুষ নাই। এ রতুগর্ভ। ভারতভূমিব বঙ্গ খণ্ড কেন ? যে খণ্ডে যাইযা সন্ধান করিবে তোমার পক্ষে কাল ভৈরবস্বরূপ —শত শত ভৈরব—দেখিতে পাইবে । রাজশবীব, রাজমন, রাজচরিত্র, রাজনীতিজ্ঞ, বাজবুদ্ধি, বাজচক্ষু, রাজ-বিবেচনা সংযুক্ত দেহেবই যে অভাব আছে —তাত ও মনে কবিও না । আব সকল মস্তকই যে বিকৃত তাহাও নহে। অনেক মস্তকেই প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর মস্তক-সদৃশ-মজ্জা আছে । মহাবীর, মহাবলশালী যোদ্ধাব দ্যায বাহুবল ও আছে ? সাহস আছে, হৃদয আছে—ধবিতে গেলে কি না আছে ? তবে সময় মন্দ হইলে কিছুতেই কিছু হয না । আজি তোমার নামে গগন ফাটিয়া যাক্টতেছে । ভয়ে গভিনীর গর্ভ পর্য্যস্ত পণত হইয়া যাইতেছে। খুজিলে তে মণব মত নামজাদ লোকই যে এই পবাধীন বাজ্যে না পাওযা যায় তাহাও নহে । সময় মন্দ, কপাল মন্দ, তাতেই এই দশা । কেনী বলিলেন—বাবু! “তুমি আমাকে বড় ঠকাইয়াছ।” বাবু বলিলেন—“আমি তোমাকে ঠকাই নাই । তুমি আমাকে পরীক্ষা করিতে চাহিয়াছিলে, আমি ও তোমাকে পরীক্ষা কবিলাম । এবং দেখাইলাম ডালভাতেব গুণ কি ? বাঙ্গালীর মাথায় আছে কি ? আমি টাকার প্রত্যাশী নহি । অধৰ্ম্ম করিয়া টাকা লইয়া আমার কয়দিন যাইবে । তুমি আমার কাছারি লুট কবিয়াছ যথার্থ। আমি যদি ঐ কাছারিব পথে সত্য-সত্যই খাজনার টাকা পাঠাইতাম তাহা হইলে তুমি কি করিতে ? আমারই টাকা দিয়া আমারই বিষয় খরিদ করিতে—এইতো তোমার মনের কথা।” কেনী বলিলেন—বাবু! আমি তোমার নিকট ঠকিয়াছি। ভৈরববাবু বলিলেন—বেশ তুমি ইংরেজ, তোমার মান্ত কোথায় না আছে ? আমি বাঙ্গলী, আমার নিকট পরাস্ত স্বীকার করিলে, আমি টাকা পাইলাম।